নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিশ্চন্দ্রপুর |
শিলান্যাস করে দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী বলেছিলেন ৬ মাসে পরিকাঠামো গড়ার কাজ করে দমকল কেন্দ্র চালু করে দেওয়া হবে। বছর গড়ালেও মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে দমকল কেন্দ্র চালু দূরের কথা, পরিকাঠামো গড়ার অর্ধেক কাজও শেষ না হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কবে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়ে কেন্দ্রটি চালু হবে তা নিয়ে কোনও পক্ষেরই সদুত্তর মিলছে না বলেও অভিযোগ উঠেছে। কাউকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মর্জিমতো ওই দমকল কেন্দ্রের পরিকাঠামো গড়ার কাজে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের বাম বিধায়কের বিরুদ্ধে। এমনকী প্রাক্তন মন্ত্রী ঘোষণা করলেও এক বছরেও গড়া হয়নি মনিটরিং কমিটি। ফলে রাজনৈতিক নেতারা দূরের কথা, দমকল কেন্দ্রের বিষয়টি নিয়ে পুরোপুরি অন্ধকারে প্রশাসনিক কর্তারাও। এ ছাড়া ওই কেন্দ্রের পরিকাঠামো গড়তে বিধায়ক নিজের ইটভাটার ইট বিক্রি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন বাম বিধায়ক তজমূল হোসেন। তিনি বলেন, “আমার কোনও ইটভাটা নেই। এলাকার কথা ভেবে আমিই এখানে দমকল কেন্দ্র গড়তে উদ্যোগী হই। এখন ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার টাকা না মেলায় কাজ নিয়ে সমস্যা হয়। ওই টাকা পাওয়া গিয়েছে। ফের কাজও শুরু হয়েছে।” হরিশ্চন্দ্রপুর দমকল কেন্দ্র নাম হলেও কেন্দ্রটি তৈরি হচ্ছে চাঁচলের তুলসীহাটায়। সেখানে উপবাজার চত্বরে ৩ বিঘা জমির উপর ২০১০ সালের ১২ ডিসেম্বর কেন্দ্রটির শিলান্যাস করেন প্রাক্তন দমকল মন্ত্রী প্রতিম চট্টোপাধ্যায়। বরাদ্দ হয় ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শৈলেন সরকার, দমকল কর্তারা-সহ প্রশাসনিক কর্তারা। হরিশ্চন্দ্রপুর ১-এর বিডিও সজল তামাং বলেন, “ওখানে যে কাজ শুরু হয়েছে তা আমার জানা নেই। কেউ আমায় জানাননি।” কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে দেড় কোটি টাকায় কেন্দ্রটির পরিকাঠামো গড়ে উঠছে তা ওই ব্লকের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তার কথাতেই স্পষ্ট বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। কেন্দ্রটি তৈরির কাজ করছে পূর্ত দফতর। জেলা পরিষদের পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মোস্তাক আলম বলেন, “মনিটরিং কমিটি ছাড়াই কাজ হচ্ছে। যা করার বিধায়ক তজমূল হোসেনই করছেন। তাঁর ভাটা থেকেই ইট নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ঢিমেতালে কাজ করা হচ্ছে।” চাঁচলের বিধায়ক আসিফ মেহবুব বলেন, “ওখানে কাজ ঢিমেতালে চলছে। কেউ দেখার নেই। অথচ বাসিন্দাদের কাছে আমায় কৈফিয়ত দিতে হচ্ছে। বিধানসভার চলতি অধিবেশনেই নতুন করে মনিটরিং কমিটি গড়ার দাবি জানাব। দফতরের মন্ত্রীর সাথে দেখা করে যাতে দ্রুত কাজ শেষ হয় তা দেখতে বলব।” ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি রুহুল আমিনও অভিযোগ করেন, কাজ প্রচণ্ড ঢিমেতালে চলছে। |