ন্যানো-বিতর্ক
‘সতর্ক’ হওয়ার দাবি তৃণমূলের, তরজা অব্যাহত
গুজরাত-সফর নিয়ে যে বিতর্ক বেধেছে, তার পুনরাবৃত্তি আটকাতে ‘সতর্ক’ থাকার দাবি তুলেছেন তৃণমূল বিধায়কেরা। প্রধান শাসক দলের বিধায়কদের ‘আপত্তি’তেই বিধানসভার শিল্প ও বাণিজ্য সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির গুজরাত-সফর বাতিল হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার ওই কমিটির বৈঠকে প্রত্যাশিত ভাবেই বিষয়টি উঠেছিল। কমিটির সদস্য দুই তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অসিত মজুমদার বৈঠকে বলেন, ভবিষ্যতে কমিটি কোথাও সফরে যাওয়ার আগে যেন ভাল ভাবে আলোচনা করে নেয়।
বস্তুত, অটো-মোবাইল হাব দেখতে ওই কমিটির যে সানন্দে ন্যানো দেখতে যাওয়ার আদৌ কোনও প্রয়োজন ছিল না, সেই ব্যাপারে তথ্য পেশ করতে উদ্যোগী ছিলেন রাজীব। কিন্তু কমিটির চেয়ারম্যান, ফরওয়ার্ড ব্লকের পরেশ অধিকারী অনুরোধ করেন, এই বিষয়ে যথেষ্ট ‘বিতর্ক’ হয়েছে। আর ‘বিতর্ক’ বাড়িয়ে লাভ নেই। কমিটি সূত্রের খবর, সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান এ দিন বৈঠকে ছিলেন না। তবে তাঁর দলের আর এক বিধায়ক, কমিটির সদস্য বাদল জমাদার পাল্টা প্রতিবাদের পথে যাননি।
সার্বিক ভাবে গুজরাত-বিতর্ক নিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরের চাপান-উতোর অবশ্য অব্যাহত। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র যেমন এ দিনই বলেছেন, “শিল্প নিয়ে সরকার কী করতে চায় আর কী করতে চায় না, এই নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে ওঁদের কাজের দৃষ্টান্ত তো দেখা গেল! ঘটনাটায় একটা জিনিস পরিষ্কার যে, ন্যানোর ভূত এখনও তাড়া করছে! বিরোধী দলে থাকাকালীন শিল্পে বাধা দিয়েছিলেন। এখন সরকারে এসে শিল্প করতে গিয়ে নিজেদের অতীতেক কাজ মনে করে নিজেরাই লজ্জা পাচ্ছেন!” বিরোধী দলনেতার মতে, শিল্প দফতরের অফিসার গুজরাত রওনা হয়ে যাওয়ার পরেও বিধায়কদের যে ভাবে শেষ মুহূর্তে আটকে দেওয়া হয়েছে, তার কোনও দরকারই ছিল না। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সূর্যবাবুর মন্তব্য, “মালপোয়া খাওয়া যেতে পারে (মমতার কালীঘাটের বাড়িতে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সফরের সময়), ফুল পাঠানো যেতে পারে (নরেন্দ্র মোদীর জয়ের পরে) আর ওখানে যেতে কীসের আপত্তি?”

কত্থকে সেরা অন্তর্লীনা
জেলা স্তরে পুরস্কার গ্রহণ। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য ছাত্র যুব উৎসবে কত্থক নৃত্যে প্রথম হল কালনার অন্তর্লীনা ভট্টাচার্য। কালনা শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমলাপুকুর এলাকার বাসিন্দা অন্তর্লীনা কালনার ধাত্রীগ্রামে অনুষ্ঠিত জেলা ছাত্র যুব উৎসবেও কত্থক নৃত্য বিভাগে প্রথম হয়। ১ জানুয়ারি কলকাতার বিধাননগর এলাকায় অনুষ্ঠিত রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় জেলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিল সে। সেখানেও কত্থক নৃত্যে সে প্রথম হয়। অন্তর্লীনার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২-১৬ জানুয়ারি কর্ণাটকে জাতীয় ছাত্র যুব উৎসব হবে। সেখানে কত্থক নৃত্য বিভাগে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে কালনার মহিষমর্দিনী গালর্স ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির পড়ুয়া অন্তর্লীনা। সে বলে, “বাবা-মা, নাচের শিক্ষকের জন্যই সফল হতে পেরেছি। জাতীয় স্তরে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.