সীমান্তে মাঠের পর মাঠ জুড়ে শীতের ফসল নষ্ট করে চলেছে চোরাই গরুর পাল। রাতের অন্ধকারে সীমান্তরক্ষীদের চোখ এড়িয়ে গরু পাচার চলছেই। শীতে তা বেড়ে উঠেছে প্রতি বারের মতো। সেই গরুর খুরেই ক্রমান্বয়ে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল। স্থানীয় বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবার রাতে রানিনগর থানার চররাজানগর এলাকার জমির মধ্যে দিয়ে গবাদি পশু পাচারের সময়ে প্রায় ১০০ বিঘে ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জমিতে এখন নানা ধরনের সব্জি। রয়েছে ধনে, সর্ষে, মটর, পেঁয়াজ ও রসুন। |
এর আগেও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সরব হন গ্রামবাসীরা। চাষিদের কথায়, দীর্ঘ দিন ধরে গবাদি পশু পাচার বন্ধ ছিল। আচমকা সোমবার রাতে গবাদি পশু পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়ার সময়ে জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। তবে বিএসএফের নজর এড়াতেই ওই এলাকার জমির মধ্য দিয়ে গবাদি পশু নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। রানিনগরের বিডিও সৈকত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এর আগে চরসরন্দাজপুর এলাকায় ওই সমস্যা ছিল। রাজানগর মাঠেও একই ঘটনা ঘটেছে। গোটা বিষয়টি এসডিও-কে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিএসএফ-পুলিশ ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসা হবে।” এর আগে নির্দিষ্ট এলাকার মধ্য দিয়ে পাচার চলত। অনেক এলাকায় চাষিদের মোটা অঙ্কের অর্থ ক্ষতিপূরণ দিয়ে মউখ বন্ধ করে রাখত পাচারকারীরা। কিন্তু সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। সীমান্তে যেমন আগের তুলনায় বেড়েছে বিএসএফের নজরদারি। তেমনি পাচারকারীরাও পাল্টে ফেলেছে তাদের পাচারের চেনা ছক। ঠিকানা বদলে নতুন এলাকা খুঁজে নিয়েছে তারা। নতুন এলাকা দিয়ে গাঢ় কুয়াশায় ডুবে থাকা ঘুটঘুটে অন্ধকারে প্রতি দিন পাচার হয়ে যাচ্ছে গবাদি পশু। আর গ্রামবাসীদের বিঘের পর বিঘে পেকে ওঠা জমির ফসল গবাদি পশুর পায়ের খুরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় চাষি সুবোধ মণ্ডল বলেন, “সর্ষে, মটর, পেঁয়াজ, ধনে, রসুন পেকে উঠেছিল। কয়েক দিন পরেই তা ঘরে উঠত। তার আগেই পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে জমির সমস্ত ফসল নষ্ট হয়ে গেল।” |