|
|
|
|
লালগড়ে নিজেদের মধ্যে বিবাদে নিহত ৩ জওয়ান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফের রক্ত ঝরল লালগড়ে। নিহত হলেন তিন সিআরপি জওয়ান। তবে এ বার আর মাওবাদী বা অন্য কোনও গোষ্ঠীর হামলায় নয়, ক্যাম্পে অভ্যন্তরীণ বিবাদেই নিহত হলেন তিন জওয়ান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালগড়ের বেলাটিকরি অঞ্চলের শীলাপাড়ায় সিআরপি-র ১৮৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, এক হেড কনস্টেবলের সঙ্গে বচসা বাধে অন্য দুই কনস্টেবলের। মূলত, ছুটি নিয়েই বচসা। আচমকা গুলি চালিয়ে দেন ওই হেড কনেস্টেবল। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন অন্য দুই কনস্টেবল। পরে নিজের মাথা লক্ষ করে গুলি চালান ওই হেড কনস্টেবল।
মৃত্যু হয় তিন জনেরই। তবে কারও পরিচয় সম্পর্কেই মুখ খুলতে চাননি সিআরপি বা জেলা পুলিশের কর্তারা। একটি সূত্রের খবর, নিহতদের দু’জন দক্ষিণ ভারতীয়, এক জন জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দা। ঝাড়গ্রাম মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের শীলাপাড়ায় যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয় পুলিশ-প্রশাসনের তরফে।
ওই হেড কনস্টেবল খানিক অসুস্থ ছিলেন বলে বাহিনীর একটি সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে সিআরপি-র ওই ব্যাটালিয়নের কম্যান্ডিং অফিসার রবিন্দর ভগত বা জেলা পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি ‘একটা গোলমাল হয়েছে’র বেশি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আচমকা ক্যাম্প থেকে গুলির শব্দে শীতের সন্ধ্যায় আতঙ্ক ছড়ায় শীলাপাড়া-সহ গোটা লালগড়েই। যেখানে এই ক্যাম্প, সে জায়গাটা কিছুটা নির্জন। মাওবাদী-বিরোধী অভিযানের জন্য ২০০৯-এর জুনে লালগড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছনোর পরে প্রথম দিকে যে ক’টি ক্যাম্প তৈরি হয়েছিল, শীলাপাড়াটির অন্যতম। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই ক্যাম্প।
স্পর্শকাতর এলাকায় বিশেষ দায়িত্বে নিয়োজিত একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীর জওয়ানেরা এ ভাবে ক্যাম্পের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়ানোয় বিড়ম্বনায় পড়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারাও। গত বছর শীতে পুরুলিয়ার বলরামপুরে নাগা বাহিনীর ক্যাম্পেও অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় গুলিচালনার ঘটনা ঘটেছিল। নিহত হয়েছিলেন দুই জওয়ান। |
|
|
|
|
|