|
|
|
|
ফের উত্তেজনা ডেবরায় |
সিপিএম নেতার বাড়িতে আগুন, দোকানে লুঠপাট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের অশান্ত হয়ে উঠল ডেবরা। সোমবার বড়ঝিকুরিয়া ও মাড়তলাতে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তাতে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন আহত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার তৃণমূল ওই এলাকায় শান্তি মিছিল করে। আর তার পরেই সিপিএমের মাড়তলা লোকাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক অমর মাইতির বাড়ি-সংলগ্ন খড়ের গাদায় আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। সিপিএমের অভিযোগ, শান্তি মিছিলের নামে পূর্ব পরিকল্পনা-মাফিক আগুন লাগিয়েছে তৃণমূল।
সিপিএমের ডেবরা জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডলের অভিযোগ, “সোমবার আমাদের পার্টি অফিসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ৫টি দোকানে লুঠপাট চালানোও হয়েছে। মঙ্গলবারও দলীয় নেতার বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটল। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।” এই ঘটনাকে সিপিএমের মতোই ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতিও। তাঁর কথায়, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সব সময়ে শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে। আমরা শান্তি মিছিল করে ফিরে আসার পরেই একটি বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। যে বা যারাই এই কাজ করুক না কেন তা সমর্থনযোগ্য নয়। তাতে আমাদের দলেরই ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। কারণ, আমরাই এ দিন শান্তি মিছিল করেছি। এই ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।” পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। এলাকায় পুলিশি টহলও চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, “একটি খড়ের গাদায় আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরাই আগুন নেভান।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিপিএমের একটি দলীয় অফিস খোলাকে কেন্দ্র করেই বিবাদের সূত্রপাত। রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই সিপিএমের বড়ঝিকুরিয়া শাখা অফিসটি বন্ধ ছিল। শনিবার সিপিএম শাখা অফিসটি খোলে। সিপিএমের অভিযোগ, সোমবার সেই অফিস বন্ধ করার জন্য হামলা চালায় তৃণমূল। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। তৃণমূলের দাবি, সোমবারের সংঘর্ষে তাদের ১৮ জন আহত হয়েছিলেন। আর সিপিএমের দাবি, তাঁদের ২৪ জন সমর্থক আহত হন। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এলাকায় শান্তি মিছিল করার পরিকল্পনা করে তৃণমূল। সেই মিছিলে ছিলেন বিধায়ক রাধাকান্তবাবুও। মিছিল শুরু হয়েছিল মাড়তলা বাজার থেকে। শেষ হয় চকমানুতে। পুরো এলাকা জুড়েই ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। মিছিল শেষে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা ফিরেও যান। তার পরেই মাড়তলা থেকে কিছুটা দূরে তেঘোরি গ্রামে সিপিএম নেতার বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। সোমবার রাতে সিপিএম কর্মী বটকৃষ্ণ মিদ্যা, অরবিন্দ কর্মকার-সহ কয়েক জনের ৫টি দোকানে লুঠপাটও চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
যুবমোর্চার দাবি। নানা দাবিতে সোমবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার রামনারায়ণ মাইতিকে স্মারকলিপি দিল বিজেপি-র যুব সংগঠন যুবমোর্চা। নেতৃত্বে ছিলেন অরূপ দাস। যুবমোর্চার অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। ফলে, রোগীর পরিজনেদের সমস্যায় পড়তে হয়। চিকিৎসকেরাও সময়মতো আসেন না। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন সুপার। |
|
|
|
|
|