নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
এক মহিলাকে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী বলে মিথ্যা শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগে খানাকুল-২ ব্লকের পার-হরিশচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গান্ধী পালের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হল। আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগীর নির্দেশে সোমবার খানাকুল পূর্ব চক্রের প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক তাপস সাধুখাঁ ওই এফআইআর করেন।
মহকুমাশাসক বলেন, “তদন্তে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে। তিনি যথাযথ নথি দেখাতে পারেননি। তা ছাড়া তিনি নিজের ভুলের কথা লিখিত ভাবে স্বীকারও করেছেন। ওই শংসাপত্র দাখিল করে এক মহিলার চাকরিও হয়। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের জুলাই মাসে হরিশচক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে সহায়িকা পদে নিয়োগ হন লক্ষ্মী দলুই। তাঁকেই মিথ্যা শংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গান্ধীবাবুর বিরুদ্ধে। লক্ষ্মীদেবীর বিরুদ্ধে গত বছর অগস্টের গোড়ায় মিথ্যা শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তোলেন ওই ব্লকেরই আর একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ছায়া কোটাল। মহকুমাশাসক তদন্তের নির্দেশ দেন বিডিও, তৎকালীন সিডিপিও এবং তাপসবাবুকে। ২৯ অগস্ট প্রধান তদন্তকারী দলকে জানান, তিনি বিদ্যালয়ের নথি দেখে লক্ষ্মীদেবীকে শংসাপত্র দেন। কিন্তু তদন্তকারী দল স্কুলের নথি ঘেঁটে লক্ষ্মীদেবীর নাম পাননি। পরে স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক লিখিত ভাবে জানান, ওই শংসাপত্র দেওয়া তাঁর ভুল হয়েছিল। এর পরেই লক্ষ্মীদেবীর বেতন আটকে রাখা হয় এবং তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে গান্ধীবাবু বলেন, “আমি যা বলতে চেয়েছিলাম, তা তদন্তকারীরা শোনেননি। এক দল মানুষের চাপে বাধ্য হয়ে লিখিত ভাবে ভুল স্বীকার করতে হয়েছে। যা জানানোর দফতরের জেলা পরিদর্শককে জানিয়েছি। প্রয়োজনে আদালতে জানাব।” |