নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া |
রাস্তার দৈর্ঘ্য বড়জোর সাতশো মিটার। কিন্তু এই রাস্তার গুরুত্ব অনেকটাই। অথচ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত করা হয়নি। অবস্থিত উলুবেড়িয়া পুরসভার বুকের উপরে। এর বিস্তার নিমদিঘি থেকে উলুবেড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত এই রাস্তাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। মুম্বই রোডকে উলুবেড়িয়া রেলস্টেশনের সঙ্গে জুড়েছে এই রাস্তাটি।
ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে এই রাস্তা ব্যবহার করে সহজেই মুম্বই রোডের মাধ্যমে সড়কপথে যাতায়াত করা যায়। আবার সড়কপথে গোলমাল হলে এই রাস্তাটিই ব্যবহার করে উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরা যায়। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। রাস্তা ব্যবহারকারীদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
বাণীবন, যদুরবেড়িয়া-সহ মুম্বই রোড-সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দারা স্টেশন, হাসপাতাল, পুরসভা-সহ বিভিন্ন এলাকায় আসেন। তাঁদের উলুবেড়িয়া শহরে আসার প্রধান পথই হল এই রাস্তা। রাস্তার দুই দিকে রয়েছে সার দিয়ে দোকানঘর। স্থানীয় বাসিন্দারা এই সব দোকানে আসেন। এ ছাড়াও নিমদিঘিতে বসবাস করেন বহু চিকিৎসক। তাঁদের কাছেও এই রাস্তা দিয়েই আসেন বহু মানুষ।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তায় কোনও সংস্কারের কাজ করা হয়নি। ফলে পিচ ঢালা রাস্তার উপরে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। ভেঙে গিয়েছে রাস্তার পাড়। পাথরকুচি ফেলে গর্তগুলি বোজানো হয়েছিল। কিন্তু সেই সব কবেই উঠে গিয়েছে। ভ্যান রিকশা, অটো রিকশা বা গাড়িতে করে যাতায়াতের সময়ে যাত্রীদের প্রাণান্তকর অবস্থা হয়।
স্থানীয় দোকানি শেখ আব্বাস বলেন, “রাস্তা শেষ কবে সংস্কার হয়েছে তা আর মনে নেই।” তিনি জানান, এক সময়ে এই রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করতেন। কিন্তু সংস্কার না-হওয়ার ফলে লোক চলাচল অনেকটা কমে গিয়েছে। নিত্যযাত্রী মদনমোহন মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “রাস্তা খারাপ হওয়ার ফলে রিকশা চলাচলও কমে গিয়েছে।”
পুরসভার পক্ষ থেকে অবশ্য জানানো হয়েছে এই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাস্তার দুই দিকে প্রচূর দখলদার থেকে যাওয়ায় সংস্কারের কাজ সম্ভব হয়নি। সমস্যা মেটাতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষের দাবি। তিনি বলেন, “দখলদারদের হঠাতে ইতিমধ্যেই আমরা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দখলদারদের হঠিয়ে খুব শীঘ্রই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হবে।” |