টালা-পলতা পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে চতুর্থ কিস্তির টাকা দিতে সম্মতি জানাল কেন্দ্র।
আজ দিল্লিতে টালা-পলতা পানীয় জল প্রকল্প, বেকবাগান ও কামালগাজিতে উড়ালপুল নির্মাণ, বিবাদী বাগ এলাকার সৌন্দর্যায়ন ও ঐতিহ্যশালী ভবনগুলির সংরক্ষণ এই ধরনের একাধিক বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বাম সরকারের আমলে ভুল প্রকল্প-রিপোর্ট দিল্লিতে জমা দেওয়ায় ‘জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন’-সহ বহু প্রকল্পের টাকা আটকে দেয় কেন্দ্র। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিষয়টি নিয়ে জট কাটাতে একাধিক বার বৈঠক করেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। তড়িঘড়ি জমা দেন নতুন প্রকল্প-রিপোর্টও। কারণ, ‘জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল আর্বান রিনিউয়াল মিশন’ প্রকল্পে প্রথম পর্ব শেষ হচ্ছে চলতি বছরেই। তাই ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গের জন্য দ্রুত অর্থ মঞ্জুর করতে চাপ দেওয়া হতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। অর্থের দাবিতে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আজ ওই একই দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব সুধীর কৃষ্ণনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শোভনবাবু। বৈঠকের শেষে তিনি দাবি করেন, টালা-পলতা পানীয় জল-প্রকল্পের ক্ষেত্রে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক চতুর্থ কিস্তির টাকা দিতে রাজি হয়েছে। শোভনবাবু বলেন, “গত এপ্রিল মাসে ওই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন কারণে তা হয়নি। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে ওই কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”
তবে ২৪ কিলোমিটার লম্বা ওই পাইপলাইন বসাতে গিয়ে প্রায় ৪০০ মিটার এলাকায় সেনাবাহিনীর আপত্তির মুখে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। সে বিষয়টি নিয়েও ইতিমধ্যেই ইস্টার্ন কম্যান্ডের জিওসি-এর সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করেছেন মেয়র। শোভনবাবুর বক্তব্য, “বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনে ফের কথা বলা হবে।”
এ ছাড়া বিবাদী বাগ এলাকার সৌন্দর্যায়ন ও সংরক্ষণ এবং কলকাতায় নিকাশি ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের কাজের জন্য আজ কেন্দ্রের কাছে তৃতীয় কিস্তির অর্থের দাবি জানান শোভনবাবু। বিষয়গুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে নতুন করে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। ওই কিস্তির টাকাও দ্রুত রাজ্য পেয়ে যাবে বলে নগরোন্নয়ন মন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে বলে দাবি করেন শোভনবাবু। পাশাপাশি, বেকবাগান উড়ালপুলের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও কামালগাজিতে একটি নতুন উড়ালপুল নির্মাণের বিষয়েও আজ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। |