ফের রামপুরহাট পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেশন ডিলারের দোকান ও গুদামে তদন্তে আসেন মহকুমাশাসক। রেশনে খারাপ মাল দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে এই অভিযোগ পেয়ে শনিবার তদন্তে এসেছিলেন মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব। ওই দিন তিনি চালের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই রেশন ডিলার হরিসাধন দাসের গুদাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। দোকানে মজুত থাকা খারাপ চাল বিলি করছেন কি না তাও খতিয়ে দেখেন। মহকুমাশাসক বলেন, “চালের গুণগত মান অত্যন্ত খারাপ। কী ভাবে ওই চাল ডিলার পেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ডিলার হরিসাধন দাস বলেন, “২৭ ডিসেম্বর রামপুরহাটের একটি সমবায় সমিতি থেকে নিয়ে আসা প্রায় ৬ কুইন্টাল চাল ও ৩৪ কুইন্টাল গম গ্রাহকদের বিলি করা হয়েছিল। শনিবার বুঝতে পারি ৫০ কেজি করে দু’টি বস্তার চাল নিম্নমানের।” তবে তিনি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাননি কেন? ডিলার দাবি করেন, “চাল খারাপ দেখে বিলি করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ না থাকার জন্য বিষয়টি জানাতে পারিনি।” তাঁর অভিযোগ, “চাল, গম, কেরোসিন সব ক্ষেত্রে ওজনে কম পাই। ভয়ে এত দিন কাউকে বলতে পারিনি।”
গত বুধবার রামপুরহাট গাঁধিপার্ক সংলগ্ন সমবায় সমিতি থেকে হরিসাধনবাবু চাল তুলেছেন। ওই সমিতির কর্মচারী হাসান শারওয়ার বলেন, “বস্তার ভিতরে কী থাকে সেটা দেখার অসুবিধা। তা ছাড়া, গুদাম থেকে মাল বের করে দেওয়ার পরে মাঝ পথে কী হয় তা দেখার দায়িত্ব আমার নয়।” রামপুরহাট কোঅপারেটিভ লার্জ সাইজ মার্কেটিং সোসাইটির ম্যানেজার দেবব্রত ঘোষ বলেন, “এফসিআই গুদাম থেকে যে ধরনের মাল আমাদের গুদামে আসে তা ডিলারদের দেওয়া হয়। চেষ্টা করি ভাল মাল দেওয়া।” |