পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে।
ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালি থানার রাজবাড়ি গ্রামের রাজবাড়িতে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম দীনেশ দাস (৩০)। রাজবাড়ি গ্রামে পাশাপাশি বাড়ি দীনেশ ও সুশীল দাসের। এক সাথে শ্রমিকের কাজ করায় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে দু’জনের। পরস্পরের বাড়িতেও যাতায়াত ছিল। অভিযোগ, দীনেশের স্ত্রীকে প্রেম নিবেদন করেন সুশীল। জানাজানি হওয়ায় প্রতিবাদ করেন দীনেশ। বাড়িতে যাতায়াত বন্ধ হওয়ায় সুশীল রেগে গিয়ে বন্ধুকে মেরে ফেলার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
পুলিশ জানায়, গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দীনেশের বাড়ি গিয়ে ক্ষমা চান সুশীল। নিমন্ত্রণ করেন বাড়িতে। বন্ধু ‘ভুল শুধরে’ নিয়েছে মনে করে কিছু ক্ষণ পর দীনেশ রওনা দেন সুশীলের বাড়ির দিকে। রাতে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু কোনও হদিস মেলেনি। গ্রামের লোক সুশীলকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই গ্রামেই বাসিন্দা সন্দেশখালি পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রঞ্জিত দাস বলেন, “ছেলেটাকে সন্দেহ হওয়ায় আমরা সকলে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তাতে উল্টে সে আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নালিশ করে। অভিযোগ করে তাকে হুমকি দিয়ে দোষী করা হচ্ছে।”
এ দিকে, ৩১ ডিসেম্বর ওই গ্রামের একটি পুকুরের জলে ভাসতে দেখা যায় দীনেশের মৃতদেহ। মৃতের বাবা জহর দাস ছেলেকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলে রবিবার রাতে পুলিশ সুশীলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, জেরার মুখে দোষ স্বীকার করে সুশীল বলেন, বন্ধুপত্নীকে ‘পাওয়ার জন্য’ তিনি পরিকল্পনা করে দীনেশকে ডেকে পাঠান। মদ ও মাংস খাওয়ান। নেশা জমে গেলে গলায় গামছা জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে পুকুরের জলে ফেলে দেন। ঘটনায় মৃতের স্ত্রীও জড়িত ছিল কিনা তা দেখছে পুলিশ। |