স্কুলে পৌঁছনো আর হল না ওদের। কুয়াশা-ঢাকা সকালে স্কুলভ্যানের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আজ প্রাণ হারাল ১২টি শিশু। তাদের বয়স ৫ থেকে ৮ এর মধ্যে। দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ২০।
ঘটনাটি ঘটেছে অম্বালার কাছে ১ নম্বর জাতীয় সড়কে। আজ সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে অম্বালা থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিটা গ্রামের কাছে সাহা-সাহাবাদ রোডে শিশুদের নিয়ে যাচ্ছিল ভ্যানটি। প্রত্যেকেই এখানকার অর্জুন স্কুলের পড়ুয়া।
প্রতি দিনের মতোই এ দিনও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রাস্তাঘাট। তার জেরে দৃশ্যমানতা কম ছিল বলেই ট্রাক ও ভ্যান একেবারে মুখোমুখি চলে আসে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা। দুর্ঘটনার ফলে পুরোপুরি দুমড়েমুচড়ে যায় স্কুল ভ্যানটি।
তা ছাড়া, ছোট ওই ভ্যানটিতে বহনক্ষমতার অতিরিক্ত শিশুকে তোলায় বিপত্তি আরও বেড়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পরেই ভ্যানটির চালক পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরে অবশ্য তিনিও মারা যান। |
দুর্ঘটনায় দুমড়ে গিয়েছে স্কুলভ্যান। সোমবার অম্বালায়। ছবি: পি টি আই |
আহত শিশুদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। তাদের চণ্ডীগড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের অম্বালার সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত শিশুদের মধ্যে সাত জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। কুয়াশার জেরে দুর্ঘটনার পরে জেলা প্রশাসন অম্বালার স্কুলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে, সকাল সাতটা থেকে আটটার বদলে দশটা থেকে স্কুল শুরু করতে।
দুর্ঘটনার খবরে দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা। পরে চণ্ডীগড় হাসপাতালে আহত শিশুদের দেখতেও যান তিনি। মৃত শিশুর পরিবারপিছু ১ লাখ, গুরুতর আহত শিশুদের ২৫ হাজার, এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। |