মুরগির মড়ক চলছেই। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুয়া ও শেখপাড়া এলাকায় গত এক সপ্তাহে প্রায় দেড় হাজার মুরগির মৃত্যু হয়েছে। শনিবারও সেখানে শতাধিক মুরগির মৃত্যু হয়েছে। এলাকায় সস্তায় মুরগি বিক্রির হিড়িক পড়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, যত্রতত্র সেই মৃত মুরগি ফেলে দেওয়ায় গোটা এলাকা দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে। রবিবার থেকে ওই এলাকায় শিবির করে মুরগির টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রাণি সম্পদ উন্নয়ন দফতর। প্রাণিসম্পদ দফতর জানিয়েছে, মুরগির মৃত্যুর কারণ বার্ড ফ্লু কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত রানিখেত রোগ প্রতিষেধক টিকা দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ। ১০ দিন ধরে ওই প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক দীপক মন্ডল বলেছেন, এক জন চিকিৎসকের নেতৃত্বে ৮ কর্মীকে ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। শিবির করে মুরগির টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার ৪০০ মুরগিকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতেও শিবির করা হবে। এদিনই পরীক্ষার জন্য এলাকা থেকে মৃত মুরগিও সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ দফতর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ আগে বিরুয়া এলাকায় ঘরে ঘরে মুরগির মড়ক শুরু হয়। মুরগি ছাড়াও কিছু হাঁস, পায়রার মৃত্যুর পরে এলাকায় বার্ড-ফ্লু-এর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমশ তা লাগোয়া শেখপাড়া এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া লাগোয়া গ্রাম মানকিবাড়ি, রামশিমুল এলাকাতেও কিছু মুরগির মৃত্যু হয়। শীতে রানিখেত রোগে প্রতি বছরই কিছু মুরগির মৃত্যু হয়ে থাকে। এ বছর অস্বাভাবিক মুরগি মৃত্যুর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাগুলিতে।
প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতর জানিয়েছে, বার্ড ফ্লু-র মতো রানিখেত রোগও মুরগির ক্ষেত্রে ছেঁয়াচে। ফলে লাগোয়া এলাকাগুলিতে যাতে তা ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার বিরুয়া শিবিরের প্রাণী চিকিৎসক শুভ্রাংশু সরকারও বলেছেন, “এ পর্যন্ত এলাকায় প্রায় ১৫০০ মুরগি মারা গিয়েছে। বার্ড ফ্লু কি না তা পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। এদিন এলাকা থেকে মৃত মুরগি পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।” |