নতুন বছরের প্রথম দিনেই আবার দেখা হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। ফুটবলে নয়, ক্রিকেটে। আজ রবিবার, ইডেন গার্ডেন্সে জে সি মুখোপাধ্যায় ট্রফির (টোয়েন্টি-টোয়েন্টি) ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল।
স্থানীয় ক্রিকেটের চলতি মরসুমে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মুখোমুখি হচ্ছে মোহন-ইস্ট। কয়েক দিন আগে এ এন ঘোষ ট্রফির গ্রুপ পর্বের খেলায় জিতেছিল মোহনবাগান। এবং জে সি মুখোপাধ্যায়ের ফাইনালের আগেও ‘অ্যাডভান্টেজ’ মোহনবাগান বলতে হচ্ছে। কারণ আর কিছুই নয়, ইস্টবেঙ্গলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান অরিন্দম দাস থাকছেন না ম্যাচে। তাঁর চোট। উল্টো দিকে মোহনবাগানের ব্যাটিং-বোলিং দুই-ই বেশ পোক্ত দেখাচ্ছে। চোটের জন্য শুভয় দাস খেলছেন না বেশ কিছু দিন, কিন্তু অনুষ্টুপ মজুমদার রঞ্জির পর ফের রানের মধ্যে।
বাংলা টিম থেকে বাদ পড়া অফস্পিনার সৌরাশিস লাহিড়ী মাঝে-মাঝে পাঁচ উইকেট তুলছেন। এ ছাড়াও থাকবেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল-সামি আহমেদ। লক্ষ্মী শনিবার বলেই রাখলেন, “প্রথম টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে নামছি। ইস্টবেঙ্গলকে কোনও জায়গাই দেব না।”
এ দিন সেমিফাইনালে টাউনকে প্রায় উড়িয়ে দিয়েছে মোহনবাগান। অনুষ্টুপের দাপটে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ তোলে মোহনবাগান। ৫১ বলে ৮৪ রান করে যান অনুষ্টুপ। রান পেয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল (১৬ বলে ৩৩) এবং অভিষেক ঝুনঝুনওয়ালাও (৩৪ বলে ৩৩)। জবাবে ১৬.৫ ওভারে ১১০ রানে শেষ হয়ে যায় টাউন। মোহনবাগানের সুলতান আহমেদ ১৭ রানে তোলেন ৫ উইকেট। শিবসাগর সিংহ ৪ উইকেট পান।
অন্য সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল আবার এ দিন ৪ উইকেটে হারাল স্পোর্টিং ইউনিয়নকে। প্রথমে ব্যাট করে স্পোর্টিং ২০ ওভারে তোলে ১২৯-৬। গীতিময় বসু করেন ৩৭। দু’টি করে উইকেট পান অর্ণব নন্দী এবং সৌম্য পাঁকড়ে। জবাবে শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাপটে চার বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ইস্টবেঙ্গল। ৫৩ বলে ৬৯ করেন শুভজিৎ। |