জেমস প্যাটিনসনে মুগ্ধ ব্রেট লি। লি চান, যে আগ্রাসন ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে তাঁর উত্তরসূরি দেখিয়েছেন সেটা যেন বাকি সিরিজেও থাকে।
একুশে পা দেওয়া প্যাটিনসনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়ে লি-র মন্তব্য, “আমার মনে হয় ও যেটা দেখিয়েছে, সেটা আসলে একটা নিয়ন্ত্রিত আগ্রাসন। এমনিতে আগ্রাসনেরও একটা লক্ষ্মণরেখা থাকে। সেটা আপনি অতিক্রম করতে পারেন না। কিন্তু যতক্ষণ আপনার আগ্রাসনের মধ্যে বর্ণবৈষম্য থাকে না, ততক্ষণ বাচ্চারাও সেটা দেখতে পারে। এটাই টেস্ট ক্রিকেট।” অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার আরও বলেন, “প্যাটিনসন সব সময় উত্তেজনায় ফুটছে। এটা দেখে আমার দারুণ লাগল। এটা পরিষ্কার, যে ছেলেটার মধ্যে আত্মবিশ্বাস উপচে পড়ছে। বলে প্রচুর গতি আছে। আর উইকেটও পাচ্ছে। সত্যিই এটা অসাধারণ ব্যাপার।”
জীবনের প্রথম তিনটি টেস্টে প্যাটিনসন পেয়েছেন কুড়ি উইকেট। ঠিক একই রকম দারুণ ভাবে এক দশকেরও বেশি আগে নিজের ক্রিকেট জীবন শুরু করেছিলেন ব্রেট লি। জীবনের প্রথম সাতটি টেস্টে লি পান ৪২ উইকেট। নতুন পেস তারকাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও লি অবশ্য মনে করছেন, আগ্রাসন দেখানোর জন্য সঠিক সময়টা বেছে নিতে হবে প্যাটিনসনকে। বলেছেন, “আমার মনে হয় বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাটসম্যানকে যখন বল করতে হচ্ছে তখন এক জন বোলারকে বিভিন্ন রকম আচরণ করতে হবে। কিছু ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে সরাসরি তাদের মুখের দিকে তাকাতে হবে। কখনও কখনও নিজেকে সংযমী হতে হবে। বিশেষ করে সেই সব ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে যারা স্লেজিংটা উপভোগ করে।” লি আরও বলেন, “ক্রিজে সজোরে বলটা হিট করে। আমার মনে হয়, একজন তরুণ ফাস্টবোলারের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা থাকা খুব জরুরি।” প্যাটিনসনের আরও গুণ তুলে ধরেছেন লি: “এক জন ফাস্টবোলারের যা যা দরকার সবই ওর মধ্যে আছে। শক্তিশালী দুটো পা। শক্তপোক্ত কাঁধ। ডান হাতি ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে সুন্দর ভাবে বলটা বাইরে বার করে। আর সেটা যদি ঘন্টায় ১৪০ কিমি গতিতে করা যায় তা হলে বলতেই হবে তুমি খুব ভাল বোলার।” |