রাজ্য সরকারের গড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন নদীর ভাঙন রোধ করাকেই অগ্রাধিকার দিতে চায়। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরে এ কথা জানিয়েছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
মন্ত্রী বলেন, “মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বর্ধমান এবং সুন্দরবনে ভাঙন মারাত্মক আকার নিয়েছে। গঙ্গা ও পদ্মার তীর বরাবর এই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।” মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিবের কাছে জমা দেওয়া এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফুলহার নদীর ৪০ কিলোমিটার লম্বা পাড়, মহানন্দার ৯৮ কিলোমিটার এবং মুর্শিদাবাদ থেকে নদিয়ার পলাশি পর্যন্ত ভাগীরথীর পাড় সংস্কার প্রয়োজন। মানসবাবুর কথায়, “প্রতিদিনই এই নদীগুলি তাদের চরিত্র ও গতিপথ বদলাচ্ছে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।” বাম জমানায় এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও এ দিন অভিযোগ করেছেন মানসবাবু।
রাজ্যে এই মুহূর্তে নদীগুলির অবস্থা এবং আগামী দিনে বন্যা রোধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন, তা বিস্তারিত ভাবে বলা রয়েছে কমিশনের ওই রিপোর্টে। গঙ্গা-পদ্মা-ভাগীরথীর বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য আলাদা করে কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। সেই কমিটির পরামর্শ মতো কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ চাওয়া হবে যোজনা কমিশনের কাছে। রাজ্যের কোথাও বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখানকার মানুষকে যাতে দ্রুত বিপজ্জনক এলাকা থেকে সরিয়ে ফেলা যায়, তার জন্য এ বার উপগ্রহ-যোগাযোগের সাহায্য নেওয়া হবে বলে এ দিন মানসবাবু জানান। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের সহায়তায় রাজ্যে প্রায় ১০০টি এমন কেন্দ্র তৈরি করা হবে, যেখান থেকে বৃষ্টি এবং নদীর জলের পরিমাণ সংক্রান্ত তথ্য উপগ্রহ মারফত পাঠানো হবে কলকাতায়। সেখান থেকে দ্রুত সতর্ক করা হবে সংশ্লিষ্ট জেলাকে। |