ষাঁড় খেপলে সামলানোর দায়িত্ব কার? পুলিশ না দমকলের! বন নাকি প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের? নাকি অন্য কোনও দফতরের? বর্ষশেষের সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত এই প্রশ্নই তাড়িয়ে বেড়াল ব্যারাকপুর স্টেশনের আশপাশের এলাকার মানুষকে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ব্যারাকপুর ১৫ নম্বর রেলগেট থেকে ‘দৌড়যাত্রা’ শুরু করেছিল সে। গায়ের রং কালো। শিং দু’টো ইয়া বড়! স্টেশন থেকে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে প্রায় দেড় কিলোমিটার দৌড়ে সে এক মুহূর্তের জন্য থামে চিড়িয়ামোড়ে। তত ক্ষণে তার তাড়া খেয়ে যে যার মতো এ দিক-ও দিকে গুটিয়ে গিয়েছেন। থমকে গিয়েছে বাস-ট্যাক্সি-অটো। মোটরবাইক, সাইকেল রাস্তায় ফেলে দুদ্দাড় পালিয়েছেন চালকরা। সিঁটিয়ে গিয়েছেন ফুটপাথের দোকানিরা।
এরই মধ্যে কেউ খবর দিয়েছেন চাণক পুলিশ ফাঁড়িতে। বাগে আনতে হবে খ্যাপা ষাঁড়! খবর পেয়ে ফাঁড়ি থেকে ঘটনাস্থলে এসে থ পুলিশকর্মীরাও! কী ভাবে কী করবেন, বুঝতে না পেরে চম্পট দিলেন তারাও। পাছে ষাঁড় ঢোকে, ফাঁড়ির দরজা বন্ধ করে বসে থাকেন তাঁরা। সঙ্গে আতঙ্কে পালিয়ে আসা কিছু পথচলতি মানুষও।
শেষমেশ ফাঁড়ি থেকে ফোন গেল টিটাগড় থানায়। থানার আইসি শুভাশিস চৌধুরী অন্য কর্মীদের সঙ্গে তড়িঘড়ি ছুটলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা টের পেলেন, ষাঁড়কে বাগে আনার তাঁদের কম্মো নয়। বেগতিক দেখে দমকলে খবর দেয় পুলিশ। দমকল রাজি হয়নি। বন দফতর সাফ জানিয়ে দিল, বাঁদরের ‘নীচে’ কোনও প্রাণীকে শান্ত করার ‘এক্তিয়ার’ তাদের নেই। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মীরা জানালেন, তাঁদের কাছে গাড়ি রয়েছে। কিন্তু লোকবল নেই।
শেষে কোনও মতে দমকলকেই রাজি করাল পুলিশ। স্থানীয় যুবক, দমকল কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের চেষ্টায় শেষমেশ ষাঁড়ের চারটে পায়ে দড়ি পরানো গেল। তার গুঁতোর জেরে ব্যারাকপুর বি এন বলু মহকুমা হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে হয়েছে এক মহিলা-সহ দু’জনকে। অল্প জখম আরও পাঁচ।
|
আলুর খেত এবং ধানের গাদায় হামলা চালাল হাতির পাল। শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের চকপার্বতী জঙ্গল থেকে হাতির পালটি গোঘাটে ঢুকে পড়েছিল বলে বনদফতরের আরামবাগ (চাঁদুর) শাখা জানায়। গ্রামবাসীদের দাবি, হাতির সংখ্যা ছিল প্রায় একশো। অভিযোগ, হাতির পাল গ্রামে মোট ৭২টা ধানের গাদা এবং মাঠের প্রায় ১০০ বিঘার উপর আলুর জমি মাড়িয়ে সমতল করে দেয়। রাতেই পুলিশ ও গ্রামবাসীরা যৌথ ভাবে মশাল জ্বেলে, বোমা ফাটিয়ে ভোর ৩টে নাগাদ দলটিকে এলাকা ছাড়া করেন। |