|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
২৫ - ৩১ ডিসেম্বর |
|
করাচি ডারফুর মস্কো কায়রো টোকিয়ো |
|
• ইমরানের খানের ডাকে লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামল করাচির রাস্তায়। তাঁর তহরিখ-ই-ইনসাফ পার্টি এখন পাকিস্তানের রাজনীতিতে বৃহত্তম শক্তি হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এ দিকে, দেশে সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি যদিও বলেছেন, কোনও অবস্থাতেই তিনি দেশ ছেড়ে যাবেন না, ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আবার, ওয়াশিংটন বলছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক এখন যে তলানিতে ঠেকেছে, তাতে দুই দেশের মধ্যে বড় জোর সীমিত সম্পর্ক থাকতে পারে।
|
• প্রাক্তন সোভিয়েত রাষ্ট্রপ্রধান মিখাইল গোর্বাচেভ ভ্লাদিমির পুতিনকে সময় থাকতেই ক্ষমতা ছাড়ার পরামর্শ দিলেন। পুতিন অবশ্য মানছেন না। উল্টে তিনি বললেন, বিতর্কিত নির্বাচনটি বাতিল করার প্রশ্নই ওঠে না। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনও গণ্ডগোল হবে না। এ দিকে, প্রবল শীতেও ক্রেমলিন স্কোয়্যারের জনসভায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হলেন তাঁর বিরোধিতায়।
• মিশরে সামরিক জেলে মহিলা বন্দিদের ভার্জিনিটি টেস্ট এত দিন বাধ্যতামূলক ছিল। বারে বারেই অভিযোগ উঠছিল যে সেনাবাহিনী এই আইনের অপব্যবহার করছে। আদালতের রায়ে আইনটি বাতিল হল।
• জাপান ও চিন সরাসরি মুদ্রা বিনিময়ের চুক্তি করল। ভারতের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ হল জাপান একে অপরকে প্রয়োজনে বিদেশি মুদ্রা দিয়ে সাহায্য করবে এই দুটি দেশ। |
• সুদানের ডারফুর অঞ্চলের প্রধান জঙ্গি গোষ্ঠী ‘দ্য জাস্টিস অ্যান্ড ইকুয়ালিটি মুভমেন্ট’ জানাল, তাদের নেতা খলিল ইব্রাহিম নিহত। শিবিরে মিসাইল আক্রমণেই মৃত্যু, জানা গিয়েছে। গোষ্ঠীর মুখপাত্র বলেছেন, অজ্ঞাতপরচিয় বিমান থেকে এই হামলা হয়। হামলা যতটা নিখুঁত ছিল, তা সুদানের সেনাবাহিনীর সাধ্যের অতীত বলেই দাবি করছে জঙ্গিরা। |
|
তেহরান |
|
ইরান পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের উদ্যোগ বন্ধ না করলে তার পেট্রোলিয়ম রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের জবাব: সে ক্ষেত্রে উপসাগরের হরমুজ প্রণালী আটকে দেবে তারা। দুনিয়ার পেট্রোলিয়ম বাণিজ্যের একটা বড় অংশ ওই জলপথটি দিয়ে চলাচল করে। অতএব, ওয়াশিংটনের প্রত্যুত্তর: হরমুজ প্রণালী খোলা রাখার জন্য যা করতে হয়, তারা করবে। এই চড়া সওয়াল-জবাবের মধ্যেই শনিবার উপসাগরে পরীক্ষামূলক ভাবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। তবে, পাশাপাশি, দেশের এক সামরিক কর্তা জানিয়েছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া ইরানের অভিপ্রায় নয়। জার্মানিতে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, পারমাণবিক কর্মসূচি বিষয়ে আলোচনা ফের শুরু করার জন্য তেহরান ছয় দেশের (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি) গোষ্ঠীকে প্রস্তাব দেবে।
|
হোমস, সিরিয়া |
আরব দুনিয়ার ২১টি দেশের গোষ্ঠী ‘আরব লিগ’ সিরিয়ায় তাদের একটি প্রতিনিধিদল পাঠাল। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েই যাচ্ছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসেবে গত মার্চ থেকে মৃত অন্তত পাঁচ হাজার। অথচ বিক্ষোভের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হোমস শহরে দু’দিন তদারকি সফর করে ‘আরব লিগ’-এর প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, তারা ভীতিপ্রদ কিছু দেখেনি। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তদন্তকারীরা সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সেনার আশ্রয় ছাড়ছেন না, ফলে প্রেসিডেন্ট যা দেখাতে চাইছেন, তাঁরা সেটাই দেখছেন, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন তাঁরা দেখবেন কী করে?
|
তেহরান |
২০০৫ সালে খুন হয়েছিলেন সাকিনে মোহাম্মদি আশতিয়ানির স্বামী। দেশের আদালত তাঁকে স্বামী-হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধে দুই পুরুষের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগও আদালত মেনে নেয়। নিরানব্বই ঘা বেত খেয়েছেন সাকিনে, দশ বছরের কারাদণ্ডও ভোগ করছেন ২০০৬ সাল থেকে। কিন্তু তাঁর মাথার ওপর ঝুলছে পাথর ছুড়ে অথবা ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুর দণ্ড। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভ্যাটিকান নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় বইছে। কিন্তু তাতে লাভ হওয়ার আশা কম, কারণ যে দেশের ঘটনা এটি, তার নাম ইরান। পশ্চিম দুনিয়াকে সে পরম শত্রু মনে করে। আর সে দেশের ইসলামি আদালতের বিচারে সাকিনে হত্যায় জড়িত থাকুন বা না থাকুন মৃত্যুদণ্ডেরই যোগ্য, কারণ তাঁদের বিচারে পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষমা নেই।
|
ম্যানিলা |
টাইফুন ওয়াশি-র দাপটে বিপর্যস্ত দ্য ফিলিপিন্স-এর দক্ষিণ অংশ। মৃতের সংখ্যা ১২৫০ ছাড়িয়েছে। ঝড়টি আছড়ে পড়ে রাতের অন্ধকারে, ফলে অনেকেই পালানোর কোনও সুযোগই পাননি। আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।
|
শেষ পাত |
ইতালির নাগরিক আন্তোনিয়ো বাড়ির ড্রয়ার ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রোসার লেখা কতকগুলি প্রেমপত্র খুঁজে পান, ধরা পড়ে গিয়ে রোসা সব স্বীকার করেন, অতঃপর আন্তোনিয়ো বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছেন। তো? এ রকম তো কতই হয়! তা ঠিক, তবে কিনা, আন্তোনিয়োর বয়স ৯৯, রোসা ৯৬। বাপ রে, বলেন কী? আজ্ঞে হ্যাঁ, গল্পের আর একটু বাকি আছে। ব্যাপারটা হচ্ছে, রোসার চিঠিগুলি চল্লিশের দশকে লেখা, সেই সময়ে একটা গোপন প্রেম হয়েছিল তাঁর। সে সব কবেই ফুরিয়ে গেছে, শতাব্দীও অতিক্রান্ত। ভাবা যায়? এ বার থেকে পরকীয়াও বলতে পারেন, টাইম বোমাও বলতে পারেন। |
|
|
|
|
|