টুকরো খবর
৩ রা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন জন পরিদর্শক
উচ্চশিক্ষা দফতরের গড়া তিন সদস্যের পরিদর্শক দল ৩ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যাচ্ছে। উচ্চশিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিৎ শুক্রবার এ কথা জানান। উপাচার্য অরুণাভ বসু মজুমদারের অপসারণের দাবিতে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আন্দোলন চালাচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি। ৯ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারেননি অরুণাভবাবু। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। ঠিক হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে সুগতবাবুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের পরিদর্শক দল পাঠাবে রাজ্য। এর পর আন্দোলন প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করে কর্মচারী সমিতি। শুক্রবার সুগতবাবু জানান, তিনি ছাড়া দলে রয়েছেন উচ্চশিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ চেয়ারম্যান বিনয় দত্ত।

আন্দোলনে তৃণমূল
সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবিতে আন্দোলনে নামল তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষক সংগঠন উত্তর দিনাজপুর জেলা কিসান কংগ্রেস কমিটি। শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে সংগঠনের কয়েকশো কর্মী সমর্থক রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় মহকুমাশাসকের দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। প্রশাসনিক আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রায়গঞ্জের মহকুমাশাসক অদিতি দাসগুপ্ত বলেন, “সংগঠনের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জেলার ৯ টি ব্লকে সরকারি উদ্যোগে চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ব্যাপারে ব্যবস্থা হচ্ছে।” প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর জেলার প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ১৪ লক্ষ কুইন্টাল আমন ধানের চাষ হয়েছে। কমিটির অভিযোগ, ধান ওঠা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকা ছাড়া বাকি ব্লকগুলিতে সরাসরি ধান কেনার কাজ শুরু হয়নি। চাষিরা ব্লকের বিভিন্ন হাটে ফড়েদের কাছে কুইন্টাল প্রতি ৮০০ টাকা দরে ধান বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। কমিটির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবলু মাহাতো বলেন, “ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রশাসন নির্দিষ্ট দামে ধান কেনা শুরু না হলে চাষিদের নিয়ে আন্দোলনে নামার কথা মহকুমা প্রশাসনের কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছি। সংগঠনের তরফে জেলার সমস্ত হাটে ধান ক্রয়কেন্দ্র খোলার দাবিও জানানো হয়েছে।”

বিধায়কের বাড়িতে গুলি
রতুয়ার কংগ্রেস বিধায়কের সমর মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ রতুয়া থানার মহানন্দাটোলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কংগ্রেস রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করতেই গুলি চালায় বলে অভিযোগপত্রে দাবি করেছেন তিনি। কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, “রাতে গ্রামের বাড়িতেই ছিলাম। কে বা কারা আমায় খুন করার জন্য বাড়িতে পর পর দুটি গুলি চালায়। প্রথমে ভেবেছিলাম থানায় অভিযোগ করব না। পরে আমার আইজীবিদের পরামর্শে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।” জেলার পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “বিধায়কের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” বিধায়কের ওই অভিযোগকে ঘিরে জেলার সব মহলেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতাকে প্রাণে মারা হুমকির অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেস বিধায়কের পুত্রের বিরুদ্ধে। এমনকী, স্থানীয় একটি স্কুল পরিচালন সমিতির ভোটে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া হলে দেখে নেওয়া হবে বলেও বিধায়ক পুত্র হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়া তৃণমূল নেতা কর্মীদের ভয় দেখাতে তিনি শূন্যে ১২ রাউন্ড গুলি চালান বলেও অভিযোগ উঠেছিল। বিধায়ক পুত্র ওই অভিযোগ অস্বীকার করলেও তৃণমূলের তরফে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এদিনও বিধায়কের উপরে হামলার ঘটনাটি জেনে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজলুল হক বলেন, “ছেলের ঘটনাটি ঘামাচাপা দিতে বিধায়ক তাঁর উপর হামলার ঘটনা সাজাচ্ছেন। না-হলে প্রাণনাশের চেষ্টার ১৬-১৭ ঘন্টা পর কী কেউ থানায় অভিযোগ করে?”

বামেদের অবরোধ
কৃষি পণ্যের সহায়ক মূল্যের দাবিতে জেলা জুড়ে বাম কৃষক সংগঠনের পথ অবরোধ এবং সরকারি শিবিরে ধান কেনা নিয়ে চাষিদের ঘেরাও ও বিক্ষোভে শুক্রবার উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিনাজপুর। এদিন সকাল ১০টা থেকে ১১টা, এক ঘন্টা পূর্ব ঘোষিত প্রতীকী পথ অবরোধে নেমে সিপিএম, আরএসপি এবং সিপিআইয়ের কৃষক সমিতির নেতৃত্বে জেলার ৮টি ব্লকের ১৭টি জায়গায় পথ অবরোধ করে তুমুল বিক্ষোভ দেখানো হয়। হিলি থেকে হরিরামপুর, অন্যদিকে তপন থেকে কুমারগঞ্জ ব্লকের নানা স্থানে অবরোধের জেরে যানজটে নাকাল হন মানুষ। বালুরঘাটের পতিরাম তিন মাথার মোড়ে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে দিয়ে, ট্রেকার চালককে চড় মেরে এক ঘন্টার অবরোধ সফল করার অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এদিন কুমারগঞ্জের বটুন অঞ্চলে প্রশাসনের তরফে চালকলের মাধ্যমে সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে গিয়ে ঘেরাও হয়ে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। বিক্ষোভের খবর পেয়ে বালুরঘাট থেকে জেলা খাদ্য নিয়ামক ভাস্কর হালদার সেখানে গিয়ে রাত পর্যন্ত ঘেরাও হয়ে থাকেন। চাষিদের অভিযোগ, মাত্র ১৫০ জনের কাছে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিবিরে হাজির প্রায় ৫০০-র উপর চাষি সহায়ক দামে সকলের ধান কিনতে হবে বলে দাবি জানান। শেষে খাদ্য নিয়ামকের আশ্বাসে উত্তজনা কমে।

মুরগির মড়ক
মুরগি মড়ক শুরু হওয়ায় বার্ড-ফ্লু’র আতঙ্ক ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দুটি এলাকায়। গত এক সপ্তাহে রশিদাবাদ পঞ্চায়েতের বিরুয়া ও শেখপাড়া এলাকায় ৬০০-রও বেশী মুরগির মৃত্যু হয়েছে বলে পঞ্চায়েত এবং বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে মৃত্যুর কারণ বার্ড-ফ্লু নয় বলে ব্লক প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক দীপক মন্ডল বলেছেন, “ওই এলাকায় মুরগি মারা গেলেও বার্ড-ফ্লু’র কোনও লক্ষন নেই। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শীতে রানিখেত রোগেই ওই মৃত্যু হয়েছে। দফতরের কর্মীরা নিয়মিত এলাকায় যাচ্ছেন। পরিস্থিতির উপর লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।” এক সপ্তাহ আগে দুটি এলাকায় মুরগি মরতে শুরু করে। ঘরে ঘরে মুরগি মারা যেতে শুরু করায় বাসিন্দাদের মধ্যে বার্ড ফ্লু-র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সেকিল আহমেদ সিরাজি বলেন, “বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে।” বাসিন্দারা জানান, প্রথমে মুরগরিগুলি ঝিমিয়ে পড়ছে। তারপরই তাদের মৃত্যু হচ্ছে।

অবরোধ, উত্তেজনা
ইন্দিরা ভবনের নাম বদলের প্রতিবাদে ছাত্র পরিষদের রাস্তা অবরোধ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারে। শুক্রবার দুপুরে কোচবিহারের কাছারি মোড়ে ওই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায়, জেলা সভাপতি অরিন্দম দে-সহ ৫০ জন সমথর্ককে গ্রেফতার করে। পরে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরে সাড়ে ১২টা নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। সেখানে একটি ছোট গাড়ির চালকের সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসা হয়। ওই গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি রাহুল রায় অবশ্য দাবি করেন, তাঁদের কেউ গাড়ি ভাঙচুরে জড়িত নয়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “আচমকা ওই অবরোধ হলে পুলিশ গিয়ে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।”

গাঁজা উদ্ধার
চা পাতার কার্টুনের ভেতরে প্লাস্টিকের প্যাকেটে থরে থরে লুকানো ১২০০ কেজি গাঁজা ভর্তি ট্রাক আটক করল পুলিশ। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ট্রাকের চালককেও। শুক্রবার বিকেলে কোচবিহার জেলার বক্সিরহাট থানা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম বলকার সিংহ। তার বাড়ি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। উদ্ধার হওয়া গাঁজার বাজার দর ৫০ লাখ টাকার বেশি বলে দাবি করেছে পুলিশ।

দেহ উদ্ধার
শুক্রবার বিকালে রায়গঞ্জ শহরের শনিমন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হল। মৃতের নাম উজ্বল চাকি (৪৮)। বাড়ি রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জে। তিনি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা ভূমি সংস্কার দফতরে দলিল লেখকের কাজ করতেন। রায়গঞ্জ থানার তদন্তকারী অফিসার মানিক দাম বলেন, “ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে যক্ষ্মারোগে ভুগছিলেন। সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

দুর্ঘটনায়
মৃত্যু গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয়েছে এক যাত্রীর। গুরুতর জখম হয়েছেন দুই মহিলা সহ ৫ জন। শুক্রবার মালদহের চাঁচলের বাশিলহাটে আশাপুরগামী রাজ্য সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম দীপক দাস (৪৫)।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.