পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মালদহের সুজাপুরের চারটি স্কুল একসঙ্গে লটারি করে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মালদহের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শুক্রবার ওই চারটি স্কুলের প্রধানকেই শো কজ করেছেন। সাত দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। ওই চারটি স্কুল হল নয়মৌজা হাই স্কুল, নয়মৌজা সুব-হানিয়া হাই মাদ্রাসা, সুজাপুর হাই স্কুল ও সুজাপুর গার্লস হাই স্কুল। ২০ ডিসেম্বর ওই চারটি স্কুলে লটারি হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১৬০০ ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি নেওয়া হয়। কিন্তু এখনও এলাকার ২৫০-৩০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারেনি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার লটারি প্রক্রিয়াকেই চ্যালেঞ্জ করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে অভিযোগ জানান এলাকার ৫০ জন অভিভাবক। তার পরেই শোকজ করা হয়। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বিমল পাণ্ডে বলেন, “প্রতিটি স্কুলের আলাদাভাবে লটারি করা উচিত ছিল। সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘন করে সুজাপুরের চারটি স্কুল আমায় না-জানিয়ে একসঙ্গে লটারি করে। শোকজের জবাব পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” একসঙ্গে লটারির বিষয়টি স্বীকার করেন নয়মৌজা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নাজার হোসেন। তিনি বলেন, “চারটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ বসে একসঙ্গে লটারি করার সিদ্ধান্ত হয়। শোকজের জবাব দেব।” সুজাপুর গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়শ্রী পালের বক্তব্য, “এলাকায় প্রচুর ছাত্রী। ভর্তি সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য সুজাপুরের কাছাকাছি চারটি স্কুল একসঙ্গে লটারি করা হয়েছিল।” সুজাপুরে বাসিন্দা মহম্মদ আক্রামূল হক, মহম্মদ আলিম রহমান বলেন, “এক সঙ্গে লটারির ফলে এখনও সুজাপুরের ২৫০-৩০০ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হতে পারেনি। নয়মৌজা সুব-হানিয়া হাই মাদ্রাসার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বহু ছাত্রছাত্রী পঞ্চমে ভর্তির সুযোগ পায়নি।” চারটি স্কুলের লটারি বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন ওই অভিভাবকেরা। পাশাপাশি, প্রত্যেকটি স্কুলে ফের আলাদা করে লটারির দাবিও তাঁরা জানিয়েছেন। এদিকে পঞ্চম শ্রেণিতে সমস্ত ছাত্রের ভর্তির দাবিতে শুক্রবার ছাত্র পরিষদ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসেনজিত দাস বলেন, “৫০০র বেশি ছাত্রছাত্রী পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। তাদের ভর্তির দাবিতেই ঘেরাও।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, “জেলার কোন স্কুলে কত ছাত্র ভর্তি হয়েছে ৬ জানুয়ারির মধ্যে তার রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জেলার সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পঞ্চমে ভর্তি করা হবে। কেউ যদি লটারিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পায় তবে ওই ছাত্রছাত্রীদের পাশ্ববর্তী স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।” |