সদ্যজাতদের পরিচর্যার পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ আগেই উঠেছিল। এ বার সেই সিউড়ি সদর হাসপাতালের সদ্যজাতদের পরিচর্যা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে গেলেন শিশুমৃত্যু রোধে গঠিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি পরিদর্শন করেন নবজাতদের পরিচর্যা কেন্দ্র ‘সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট’ (এসএনসিইউ)। পরে তিনি বলেন, “এসএনসিইউ তে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুরা থাকে। তারা বিপন্মুক্ত হলে আলাদা ভাবে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। তাহলে এসএনসিইউ-র চাপ অনেকটা কমবে।” এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ত্রিদিববাবুর সদর হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক জগদীশ প্রসাদ মিনা, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অমিতাভ সেনগুপ্ত, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক আশিষ মল্লিক এবং সিউড়ি হাসপাতালের সুপার মানবেন্দ্র ঘোষ। হাসপাতাল ঘুরে দেখার পরে ত্রিদিববাবু সাংবাদিকদের বলেন, “সিউড়ি হাসপাতালে নবজাতদের পরিচর্যা কেন্দ্র (এসএনসিইউ) থাকলেও সেখানে চাপ যথেষ্টই বেশি। তাই শিশু মৃত্যু রোধে মূলত দু ধরনের ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে- দীর্ঘমেয়াদী ও জরুরি ভিত্তি।” |
তিনি জানান, দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে হাসপাতালের পরিকাঠামো, চিকিৎসকের সংখ্যাসহ অনেক কিছু বাড়ানো ইত্যাদি। কিন্তু শিশু মৃত্যু রুখতে খুব শীঘ্রই কিছু ‘বেবিকট’ সংযোজন করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি থাকা বিপন্মুক্ত শিশুদের সেখানে স্থানান্তরিত করে তুলনায় সঙ্কটজনক সদ্যজাতকে পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখার কথাও বলেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ওই হাসপাতালে নির্মিয়মান একটি অংশে বিপন্মুক্ত সদ্যজাতদের পরিচর্যার জন্য নতুন ইউনিট গড়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। ত্রিদিববাবু বলেন, “বেআইনিভাবে পরিচর্যা কেন্দ্রের বেড যেন কেউ ‘বুকিং’ করে না রাখতে পারে সেটাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে। সঙ্কটজনক সদ্যজাতকে এই কেন্দ্রে ভর্তি করা যায় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়, তা গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।” প্রসঙ্গত, এই হাসপাতালে সদ্যজাত শিশু মৃত্যু নিয়ে শোরগোল পড়েছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি প্রশাসনও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। |