নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সংযোগ রয়েছে। জেনারেটরের বন্দোবস্তও রয়েছে। তা-ও বৃহস্পতিবার রাতে পাকা এক ঘণ্টা অন্ধকারে ডুবে রইল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ড। এমনকী অপারেশন থিয়েটারও! এ ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগীর পরিজনেদের মধ্যে। রাতে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।
ক’মাস আগেই মেডিক্যাল কলেজকে ‘নো-লোডশেডিং জোন’ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ জন্য নতুন লাইনও বসে। ফলে এখন পুরো শহর অন্ধাকারে ডুবে থাকলেও মেডিক্যালে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিকই থাকে। তার পরেও বৃহস্পতিবার রাতে কেন আঁধার নামল--তা খতিয়ে দেখছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার রামনারায়ণ মাইতি বলেন, “বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে ত্রুটির জন্যই লোডশেডিং হয়েছিল। দ্রুত তা মেরামত করা হয়।” তাঁর কথায়, “এমন ঘটনা যাতে পরবর্তীকালে না ঘটে সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।” হঠাৎ লোডশেডিংয়ের ফলে যে রোগীর বাড়ির লোকজন সমস্যায় পড়েছেন, তা-ও স্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ। |
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ডই রয়েছে বিধান ব্লকে। ক’মাস আগে নতুন ভবনে কিছু ওয়ার্ড স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, শিশু, প্রসূতি-সহ অধিকাংশ ওয়ার্ড, এমনকী অপারেশন থিয়েটার, এক্সরে-রুম, ওয়ার্ড মাস্টারের দফতর--সবই পুরনো ভবনে। আর এই বিধান ব্লকই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ন’টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা অন্ধকারে ডুবে থাকে। ফলে, শুধু রোগীর পরিবারের লোকজনদের মধ্যেই নয়, ক্ষোভ দেখা দেয় হাসপাতালের নার্স-কর্মীদের মধ্যেও। শেষমেশ মোমবাতি জ্বেলে অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কর্তব্যরত নার্সরা। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা যায়নি। রোগীর পরিজনেদের অনেকে ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরের কাছে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের বক্তব্য, হঠাৎ লোডশেডিং হওয়ার ফলে অনেক রোগীই সমস্যায় পড়েছেন। |
অপারেশন মাঝপথে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসা পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে। হাসপাতালে জেনারটরের বন্দোবস্তও রয়েছে। কিন্তু অন্ধকারের সময়ে সেটাও চলেনি বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যে লাইন দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে, সেই একই লাইন জেনারেটরের সঙ্গেও যুক্ত। তার ফলেই দ্রুত জেনারেটর চালিয়ে অবস্থা সামাল দেওয়া যায়নি। তবে, এ বার বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। লাইন মেরামতির পর রাত সাড়ে দশটার কিছু পরে ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এই সময়ের মধ্যে হাসপাতাল চত্বরে রোগীর পরিজনেদের বিক্ষোভের জেরে সামান্য উত্তেজনা দেখা দিলেও পরিস্থিতি কখনওই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। সুপার বলেন, “যান্ত্রিক ক্রুটি কেন হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমন ঘটনা এড়াতে এ বার সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” |