অধরা মোর্চা নেতা খুনে অভিযুক্তেরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মদন তামাং খুনের অভিযুক্ত যুব মোর্চার নেতা দিলকুমার রাইয়ের খুনের ঘটনার ২৪ ঘন্টার পরেও অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি পুলিশ। খুনের ঘটনাটি ঘটেছে দার্জিলিং জেলার সিংলা চা বাগান এলাকায়। তার গা ঘেঁষেই রয়েছে সিকিম। ঘটনার পর ৪ অভিযুক্ত সিকিমেই পালিয়ে গিয়েছে কী না তদন্তকারী অফিসারেরা খতিয়ে দেখছে। তবে খুনের কারণ এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। মোর্চার তরফে মাদক নিয়ে গোলমালের জেরে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করা হলেও পুলিশ তা মানতে নারাজ। পুলিশের অনুমান, একান্তই ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থেকেই খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। দার্জিলিঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “খুনের ঘটনার পরেই অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালায়। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর চলছে। পাশাপাশি, এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মাদকের ব্যবসার কোনও বিষয় বা গোলমাল পাওয়া যায়নি। ব্যক্তিগত আক্রোশেই ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা সবই খতিয়ে দেখছি।” গত বুধবার রাতে সিংলা চা বাগান এলাকা থেকে যুব মোর্চার নেতা দিলকুমার খুন হন। তাঁর পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে প্রতিবেশী ভিমকুশ সুব্বা-সহ ৪ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরমধ্যে ভিমকুশের দুই ছেলেও রয়েছে। দুপুরেই এলাকায় যান মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ-সহ মোর্চা নেতারা। অভিযুক্তদের মাদকের ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় দিলকুমারকে খুন হতে হয়েছে বলে মোর্চা সভাপতি জানিয়ে দেন। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিনয় তামাং বলেন, “মাদকের কারবার রুখতে দলীয় সভাপতির নির্দেশে পাহাড়ের প্রতিটি মহকুমায় সচেতনতা শিবির করা হবে। নতুন বছরের প্রথম থেকে প্রতিটি শাখা কমিটি এই শিবির করবে। পাহাড়ে মাদক বন্ধ করতেই হবে।” খুনের ঘটনার পর অবশ্য দার্জিলিং জেলার পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে গোর্খা লিগ। দলের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি জানান, দিলকুমার রাই মদন তামাং খুনের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন। সিবিআই-র চার্জশিটে ওঁর নাম রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নিহত এলাকায় ছিল। অথচ পুলিশ-প্রশাসন তাঁকে খুঁজে পাচ্ছিল না বলে জানায়। প্রতাপ খাতির বক্তব্য, “দিলকুমারের ঘটনা দেখিয়ে দিল পাহাড়ে পুলিশ-প্রশাসন কী কাজ করে। মদন তামাং মামলার অন্য অভিযুক্তরাও হয়ত এই ভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে!” দার্জিলিং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, মদন তামাং হত্যাকাণ্ডের পর নিহত দিলকুমার পালিয়ে যান। বহুবার ওঁর বাড়ি এবং এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। |