টুকরো খবর
গ্রুপ সি, ডি কর্মী নিয়োগে বয়ঃসীমা ৩৭ থেকে হল ৪০
রাজ্য সরকারের গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতম বয়ঃসীমা ৩৭ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হচ্ছে। তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে ওই সীমা ৪২ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৪৫ এবং ওবিসি-দের ক্ষেত্রে ৪০ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৪৩। শুক্রবার মহাকরণে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও যাতে নতুন নিয়ম চালু করা যায়, সেই জন্য তিনি মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিনের বৈঠকে স্কুলশিক্ষার পাঠ্যক্রমে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ঢোকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। মহাকরণে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মন্ত্রিসভায় আমরা একটি সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে বাংলার অনেক পরিবার উপকৃত হবে।” এই সিদ্ধান্তকে ‘বৈপ্লবিক’ আখ্যা দেন মমতা। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দলতন্ত্রের কারণে অনেক মানুষ চাকরি পাচ্ছিলেন না। নতুন নিয়মে সকলকে সুযোগ করে দেওয়া না-গেলেও অনেকেই সুযোগ পাবেন।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্য সরকারে এই মুহূর্তে প্রায় দু’লক্ষ ৭৫ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। খুব শীঘ্রই ওই সব পদে লোক নেওয়া হবে। সম্প্রতি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেই নিয়োগের ক্ষেত্রেও ঊর্ধ্বতম বয়ঃসীমা বাড়ানোর নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চান মুখ্যমন্ত্রী।

চোলাই নিয়ে সাবেক বাম সরকারকে দুষলেন মমতা
রাজ্যে চোলাইয়ের ‘রমরমা’ ব্যবসার জন্য সাবেক বাম সরকারকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রাজ্যে বিষ মদে শতাধিক মানুষের মৃত্যুতে ‘সামাজিক অবক্ষয়ে’র বিরুদ্ধে শুক্রবার বিশিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মৌনীমিছিল করেন। মিছিল-শেষে মমতা বলেন, “আমাদের আগের সরকার অন্যায় করেছে। চোলাই বন্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি।” রাজ্যে বিষ মদ কাণ্ডের পরে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য মন্ত্রীরা অভিযোগ করেছিলেন, মগরাহাটে সিপিএমই মদে বিষ মিশিয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে। এ দিন অবশ্য ওই অভিযোগ করেননি মমতা। তবে কাজের দিনে মিছিলের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই মিছিল করেছি।” মিছিলে দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, শাঁওলি মিত্র, জয় গোস্বামীদের মতো বিশিষ্টদের সঙ্গেই ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধানসভায় সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক তাপস রায় প্রমুখ। পরে গায়িকা সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। চোলাই মদের বিরুদ্ধে মানুষকে ‘প্রতিরোধ গড়ে’ তোলার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চোলাই বা বিষ মদের ব্যবসা বন্ধ করতে হলে পুলিশকে খবর দিন। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নিলে, সেই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।” বিষ মদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। চোলাই মদের ব্যবসায় যুক্তদের চায়ের দোকান বা ফলের ব্যবসা করার জন্য ‘পরামর্শ’ দিয়ে মমতা বলেন, “চায়ের দোকান বা ফলের দোকান করলে সম্মান বাড়বে। সরকারও আপনাদের পাশে থাকবে।”

দুই প্রতারক গ্রেফতার
বাজার চলতি দু’টি সংস্থার তৈরি ঘি-এর বোতলের লোগো-সহ অন্যান্য জিনিস নকল করতেন দুই যুবক। তার পরে ‘নকল’ শিশিতে নিম্ন মানের ঘি ভর্তি করতেন। কপিরাইট আইন ভঙ্গ করা ও প্রতারণার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ওই দুই যুবককে জোড়াসাঁকো থেকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)। শুক্রবার ইবি-র ভারপ্রাপ্ত ডিসি দেবব্রত দাস জানান, ধৃতদের নাম সন্তোষ গুপ্ত ও গুলাব সাউ। দেবব্রতবাবু জানান, ওই দুই সংস্থার সিল, লেবেল, প্যাকেট, শিশি-সহ অন্যান্য জিনিস নকল করতেন সন্তোষ ও গুলাব। ঘি-ভর্তি নকল শিশি ও অন্য জিনিসগুলিও আটক হয়েছে। সেগুলির আনুমানিক বাজারদর সাড়ে চার লক্ষ টাকা বলে জানান দেবব্রতবাবু। অন্য দিকে, ডায়মন্ড হারবার রোডের এক দোকান থেকে নকল ডিভিডি, এমপি থ্রি, ভিসিডি বিক্রির অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুই যুবক গ্রেফতার হয়েছে। ধৃতদের নাম কৃশানু কয়াল ও বিজয়কুমার দুবে। ওই দোকানটি থেকে ১৬ হাজার নকল ডিভিডি, এমপি থ্রি ও ভিসিডি মিলেছে। দেবব্রতবাবু জানান, ওই দোকানে নকল ডিভিডি-সহ অন্যান্য জিনিস বিক্রি হয় বলে অভিযোগ করেছিল এক ক্যাসেট সংস্থা।

মোট নম্বর হিসেব করতে নতুন নিয়ম
দু’টি ভাষা এবং ঐচ্ছিক বিষয়ে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ তিনটি নম্বর যোগ করে উচ্চ মাধ্যমিকে মোট নম্বর হিসেব করা হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আগামী বছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিটে মোট নম্বর ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মোট নম্বরের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেডেরও উল্লেখ থাকবে মার্কশিটে। মোট নম্বর হিসেব করা হবে কী ভাবে? উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ-কর্তৃপক্ষ জানান, পাঁচটি বিষয়ের নম্বর যোগ করে মোট ৫০০-র ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের। বিষয়গুলি কী কী? সংসদ-কর্তৃপক্ষ জানান, চারটি ঐচ্ছিক বিষয়ের মধ্যে যে-তিনটিতে পড়ুয়া সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন, সেগুলির সঙ্গে দু’টি বাধ্যতামূলক ভাষার নম্বর যোগ করে মোট নম্বর হিসেব করা হবে। বাধ্যতামূলক পরিবেশবিদ্যার নম্বর যোগ করা হবে না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি চৈতালি দত্ত জানান, মাধ্যমিকে মোট ৮০০-র ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে। ঐচ্ছিক বিষয়ের নম্বর যোগ হবে না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.