বছরের প্রথম চার মাস রাজ্যের হাওয়ায় ভাসছিল ‘পরিবর্তন চাই’। চাওয়াপাওয়ার
বিবাদভঞ্জন হল বৈশাখের শেষলগ্নে। তার পর? এবং তার আগেরও কয়েকটি ইতিহাস-চুম্বক। |
|
পরিবর্তন |
|
টানা চৌত্রিশ বছরের কমিউনিস্ট জমানার অবসান ঘটল পশ্চিমবঙ্গে।
স্বাধীন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৩ মে ঘোষিত হল নির্বাচনের ফল। দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএমকে কার্যত নিশ্চিহ্ন করে দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা নিয়ে মহাকরণ দখল করল
মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল এবং কংগ্রেসের জোট। ২০ মে শপথ নিল নয়া মন্ত্রিসভা। ২১ মে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত,
সিঙ্গুরের ‘অনিচ্ছুক’ চাষিদের ৪০০ একর জমি ‘আইন মেনেই’ ফেরত দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া অবশ্য হাইকোর্ট হয়ে শীর্ষ
আদালত পর্যন্ত গড়াল। সুব্রত বক্সির ছেড়ে দেওয়া ভবানীপুর
কেন্দ্র থেকে, ২৮ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় নির্বাচিত হলেন মমতা।
উপনির্বাচনে জিতে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে
নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় গেলেন সুব্রত। |
আশা প্রেসিডেন্সিই |
|
|
২৯ জুন। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য
মেন্টর গ্রুপ-টি ঘোষিত হল। সুগত বসু ছাড়াও রয়েছেন
অশোক সেন, সুকান্ত চৌধুরী, হিমাদ্রি পাকড়াশি,
ইশার জাজ অহলুওয়ালিয়া, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়
এবং স্বপন চক্রবর্তী। মেন্টর গ্রুপ-এর মুখ্য উপদেষ্টা
অধ্যাপক অমর্ত্য সেন। প্রেসিডেন্সির মান উন্নয়নের জন্য,
২৫ অগস্ট, দশ দফা সুপারিশ করল মেন্টর গ্রুপ। ১২ সেপ্টেম্বর,
আরও তিন জন এলেন মেন্টর গ্রুপ-এ। সব্যসাচী
ভট্টাচার্য, নয়নজ্যোত লাহিড়ি এবং রাহুল মুখোপাধ্যায়।
এর মধ্যে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও বদল হল।
অমিতা চট্টোপাধ্যায়ের স্থলাভিষিক্ত
হলেন মালবিকা সরকার। |
|
দার্জিলিং জমজমাট |
অরণ্যের দিন, রাত |
|
|
বছরের শুরুতে উত্তেজনা। ৮ ফেব্রুয়ারি, সিপচুতে পুলিশ-সিআরপির সঙ্গে সংঘর্ষ। পাল্টা গুলিতে হত ২ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থক। পাহাড় অচল করল মোর্চা। অতঃপর,
রাজ্যে পট পরিবর্তন। ৭ জুন, মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে মহাকরণে
দার্জিলিং
চুক্তি স্বাক্ষর করল রাজ্য সরকার। পাহাড়ে গড়া হবে
নতুন বিধিবদ্ধ
স্বশাসিত সংস্থা। ১৮ জুলাই, পাহাড়ে স্বাক্ষরিত
হল চুক্তি। জন্ম নিল গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সংক্ষেপে জিটিএ। |
জঙ্গলমহল উত্তাল। ৭ জানুয়ারি, নেতাই গ্রামে সি পি এম-এর সশস্ত্র শিবির থেকে নির্বিচার গুলিচালনার অভিযোগ দিয়ে শুরু। বছরের প্রান্তে, ২৪ নভেম্বর গুলির লড়াইয়ে নিহত মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি। অভিযোগ উঠল, ভুয়ো সংঘর্ষের। মমতা বন্দ্যোপাধায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার ও মাওবাদীদের মধ্যে মতভেদ ক্রমে বাড়ছিল। মধ্যস্থতাকারী কমিটি গঠন বা সাময়িক সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত কাজে আসেনি। ফলে, ফের অভিযান। বছরের গোড়ায়, ১০ মার্চ সংঘর্ষে শশধর মাহাতো নিহত হয়েছিলেন। বৎসরান্তে কিষেণজি।
|
দুর্ঘটনা |
অন্ধকার |
|
|
১৮ সেপ্টেম্বর। সিকিম-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা কেঁপে উঠল
রিখটার স্কেল-এ
৬.৯ মাত্রার ভূকম্পে। ক্ষতিগ্রস্ত হল উত্তরবঙ্গ।
২৩ অক্টোবর দার্জিলিং-এর
বিজনবাড়িতে সেতু ভেঙে পড়ে
অনেকে হতাহত হলেন। ১০ অগস্ট
লাইনচ্যুত হল নয়াদিল্লিগামী হাওড়া-কালকা মেল। |
৯ ডিসেম্বর। কলকাতার ঢাকুরিয়া-স্থিত আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড। মৃত ৯৩। অধিকাংশই রোগী। মারা গেলেন অসহায় অবস্থায় দমবন্ধ হয়ে। অকুস্থলে পৌঁছে দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামাল দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
হাসপাতালের সাত ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করা হল।
অতঃপর, ১৪ ডিসেম্বর, বিষাক্ত চোলাই মদে দক্ষিণ
২৪ পরগনায় নিহত
১৭২। ঘটনার
দায় নিয়ে চাপান উতোরে ভেঙে
পড়ল সৌজন্যের রাজনীতি। |
আলো |
প্রফুল্লচন্দ্র রায় |
সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় |
রয়্যাল সোসাইটি অফ কেমিস্ট্রি
কুর্নিশ জানাল ‘কেমিক্যাল
ল্যান্ডমার্ক প্লাক’ অর্পণ করে। |
ক্যানসার-এর জীবনী লিখে
নন-ফিকশন বিভাগে
পুলিৎজার পুরস্কার জয়ী। |
|
নানাবিধ |
১৯ অগস্ট। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল’ থেকে রাজ্য হল ‘পশ্চিমবঙ্গ’। পরিবর্তনের কাণ্ডারী রাজ্যের নতুন সরকার। ইংরেজিতে লিখলেও ‘পশ্চিমবঙ্গ’-ই লিখতে হবে। |
ইডেন থেকে বিশ্বকাপের ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ সরে যাওয়ার দুঃখ কাটালেন লিওনেল মেসি। যুবভারতীতে, ২ সেপ্টেম্বর। লজ্জার অন্ধকারেও ফের ডুবল স্টেডিয়াম। |
প্রতিবাদের বছর। হাত লাগিয়ে একের পর এক অবরোধ তুলে দিলেন সাধারণ মানুষ। প্রতিরোধের মুখ রিঙ্কু দাস। আক্রমণকারীদের চিনিয়ে দিতে দ্বিধা করলেন না। |
অন্য ধাঁচের কাহিনিচিত্র ‘গান্ডু’ (ছবিতে) বিদেশে সমাদৃত। ‘মনের মানুষ’-এর জাতীয় পুরস্কার। আলোড়ন তুলল ‘ছত্রাক’। বদলাল ‘কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব’-এর ভোলও। |
প্রথম আন্তর্জাতিক শতরানটি করলেন মনোজ তিওয়ারি। রহিম নবি জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক। গল্ফ-এ শিবশঙ্কর প্রসাদ চৌরাসিয়া জিতলেন আভান্তা মাস্টার্স। |
ছিটমহলগুলি বিলোপের সিদ্ধান্ত নিল ভারত এবং বাংলাদেশ। ঢাকায় দু’দেশের যৌথ কর্মগোষ্ঠীর বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। |
|
প্রয়াণ |
|
|
|
সুচিত্রা মিত্র ৩ জানুয়ারি |
মতি নন্দী
৩ জানুয়ারি |
বাদল সরকার
১৩ মে |
|
|
ঋতু গুহ
২২ ডিসেম্বর |
নরহরি কবিরাজ
২৮ ডিসেম্বর |
|
|
|