শীঘ্রই খুলবে উপসংশোধনাগার |
জানুয়ারির মধ্যেই রঘুনাথপুর উপ-সংশোধনাগার চালু করার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার এই ইঙ্গিত দিয়েছেন অতিরিক্ত আইজি (কারা) কল্যাণ পরামানিক। এ দিন উপ-সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন কল্যাণবাবু। প্রশাসন সূত্রের খবর, উপ-সংশোধনাগার শুরুর আগে এ দিন চূড়ান্ত পর্যায়ের পরিদর্শন হল। অতিরিক্ত আইজি বলেন, “জানুয়ারির মধ্যেই সংশোধনাগারটি শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” রঘুনাথপুর মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের অদূরে গোবিন্দপুর গ্রামের পাশে উপ-সংশোধনাগারটি নির্মিত হয়েছে। আড়াই দশক ধরে চলেছে নির্মাণকাজ। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত সময়মতো টাকা না পাওয়ার জন্যই দেরি হয়েছে নির্মাণকাজে। এ দিন কল্যাণবাবুও বলেন, “বিভিন্ন কারণে সংশোধনাগার তৈরিতে দেরি হলেও এখানে আধুনিক সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে বন্দিদের জন্য।” এটি ‘মডেল’ সংশোধনাগার হিসাবে তৈরি করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। এখানে ১৫০ জন বন্দি রাখার ব্যবস্থা আছে। পরিদর্শনের সময় সঙ্গে ছিলেন মহকুমাশাসক আবিদ হোসেন, ডিআইজি (কারা) মেদিনীপুর শোভনকুমার দীন, পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারের সুপার বিদ্যুৎকুমার রায়, পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার দীপনারায়ণ শীল-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। মহকুমাশাসক জানান, নির্মাণকাজ শেষ। পরিষ্কার ও কিছু কিছু রংয়ের কাজ চলছে। কারামন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলে সংশোধনাগার শুরুর দিন স্থির হবে।
|
লুঠ হওয়া মিড-ডে’র চাল উদ্ধার |
বস্তার ফুটো থেকে পড়ে যাওয়া চাল দেখে পুলিশ লুঠ করা মিড-ডে মিলের ১৬ বস্তা চাল উদ্ধার করল। শুক্রবার সকালে বাঘমুণ্ডি থানার ধনুডি গ্রামের ঘটনা। ধনুডি হাইস্কুলের একটি ঘরের দরজার তালা ভেঙে রাতে মিড-ডে মিলের ১৬ বস্তা চাল লুঠ করা হয়েছিল। এ দিন সকালে বাসিন্দারা দেখেন স্কুলের ওই ঘরটি থেকে রাস্তায় চাল ছড়িয়ে পড়ে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দেখেন গ্রামেরই এক বাসিন্দারা বাড়ি পর্যন্ত চাল পড়ে রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই বাড়ি থেকেই লুঠ করা ১৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই বাড়ির অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়েছে। তার সন্ধান করা হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেঘনাথ মাহাতো বলেন, “স্কুলে এসে দেখি মিড-ডে মিলের ১৬ বস্তা চাল স্কুল থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে। পুলিশ এসে রাস্তায় পড়ে থাকা চাল ধরে তল্লাশি চালিয়ে সমস্ত চাল উদ্ধার করে।”
|
চতুমুর্খী নির্বাচনে লড়াই করে খাতড়ার জিয়াকানালি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি দখল করল তৃণমূল। দীর্ঘ কয়েক দশক পরে এই সমবায়ের ক্ষমতা হারালো সিপিএম। সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি ও নির্দলের ২৮ জন সমবায়ের ৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বৃহস্পতিবার নির্বাচনের পরে দেখা যায়, সব ক’টি আসনেই তৃণমূলের মনোনীত প্রার্থীরা জিতেছেন। এই সমবায় সমিতির ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার স্বপন মাহাতো বলেন, “২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে তৃণমূলের প্যানেলের ৯ জনই জয়ী হয়েছেন। সমবায়ের মোট ৫৪৬ জন সদস্যের মধ্যে ৪৬৯ জন ভোটদান করেন।” তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জঙ্গলমহলে বিধানসভা ভোটে সিপিএম নিজেদের দখল বজায় রাখলেও এই সমবায়ে তাদের হারে উল্লসিত তৃণমূল শিবির। তৃণমূলের দহলা অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় রায় বলেন, “দীর্ঘ দিন সিপিএম এই সমবায়ে ভোট করতে দেয়নি। নিজেদের দলের লোকেদের সমবায়ের পরিচালন কমিটিতে রেখেছিল। এ বার নির্বাচন হল।” বিদায়ী পরিচালন কমিটির সম্পাদক বুদ্ধদেব মাহাতোও এ বার নির্বাচনে হেরেছেন। সিপিএমের দহলা লোকাল কমিটির সম্পাদক অর্ধেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমবায় সমিতির সদস্যেরা পরিচালন কমিটি গঠন করতেন। আমরা জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখতাম না। পরিবর্তনের হাওয়ায় আমাদের প্রার্থীরা হেরেছেন।”
|
এলাকার যত্রতত্র তৈরি হওয়া চোলাই মদের ঠেক ভেঙে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। বলরামপুর থানা এলাকার মালতি বস্তি, বহরাডি, আমটাঁড়, পোড়োগোড়া ইত্যাদি এলাকায় অভিযান হয়। বৃহস্পতিবার মালতি গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা যৌথ ভাবে এই অভিযান চালান। মালতির বাসিন্দা প্রহ্লাদ সিংহ সর্দার, মঙ্গল সিংহ সর্দার প্রমুখ জানান, এলাকায় অনেকগুলি চোলাইয়ের ঠেক গজিয়ে উঠেছিল। কারও কোনও হেলদোল নেই। মহিলারা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের স্বামীরা চোলাই খেয়ে বাড়িতে অশান্তি করছে। রোজগারের টাকা চোলাই খেয়ে শেষ করে দিচ্ছিল। তাই আমরা এলাকার পাঁচ-ছ’টি টোলায় কমবেশি সতেরোটি এ ধরনের ঠেক ভেঙে দিয়েছি। স্থানীয় বেলাগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাহামনি মুর্মু বলেন, “এলাকার লোক জন চোলাইয়ের ঠেক ভাঙলে আমরা তাদের সহায়তা করব।”
|
ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক রিকশাচালকের। শুক্রবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ওন্দা থানার রামসাগর এলাকায়, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। মৃত জলধর বাউরি (৫০) ওন্দার পুঞ্চা এলাকার বাসিন্দা। এ দিন তিনি রিকশা চালিয়ে রামসাগর থেকে ওন্দার দিকে আসছিলেন। বিষ্ণুপুর থেকে বাঁকুড়ামুখী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলধরবাবুকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
|
বাঁকুড়ায় সিপিএমের জেলা সম্মেলন |
আজ শনিবার বাঁকুড়া শহরে জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে সিপিএমের ২০তম জেলা সম্মেলন শুরু হচ্ছে। সম্মেলনে দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, দীপক দাশগুপ্ত, শ্যামলী গুপ্ত প্রমুখ নেতৃত্বের উপস্থিত থাকার কথা। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার সম্মেলনে প্রতিনিধির সংখ্যা কমিয়ে ৪০০ করা হয়েছে। সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যাও কমিয়ে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। |