কয়েক বছর আগে ছিল সোনালি চড়ুইরা, কিশোরীদের গানের দল। বয়সের গণ্ডি ভেঙে হল ‘কোরাস’। আবির্ভাব সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট মঞ্চে। আবির্ভাবেই সফল ‘কোরাস’। চেহারায় ব্যান্ডের ছাপ থাকলেও গানের কথা, সুর, পরিবেশনা কোনওটাই পরিচিত ব্যান্ডের মতো নয়। অনেক গানের সুরে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া থাকলেও প্রয়োগ বাহুল্যবর্জিত, পরিশীলিত। শব্দের বিড়ম্বনা নেই। আলোর কারসাজি নেই। আছে মধুর উপভোগ। |
বেনিয়ম, ভুঁখা আর বলরাম তিনটে গানের কথা মনকে ভাবায়। ফোক সঙ্গীতের আদলে, হাল্কা চটুলতার ছোঁয়ায় ‘সুন্দরী শুন্’ আর ‘সোনা বউ’ অপূর্ব। প্রায় প্রতিটা গানের সুর মনকে ছুঁয়ে যায়। কথা আর সুরের চমৎকার মেলবন্ধনে দেড় ঘণ্টা সময় কখন যে শেষ হয়ে যায় বোঝা যায় না। এমন সন্ধ্যা সৃষ্টির মূল রূপকার অতনু ঘোষ। টেলিকম দফতরের উচ্চ আধিকারিক। দু’-একটি বাদে সব গানের কথা ও সুর তাঁরই। দলের সকলেই সুন্দর গেয়েছেন। তবে অতনুকে বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করেছে চার কন্যা। রণিতা মণ্ডল, মণিদীপা বসু, ময়ূরাক্ষী সেন এবং সমন্বীতা মাইতি। এই চার কন্যার অবদান উল্লেখযোগ্য। অতনুর নিজের গলায় বেশ সমস্যা থাকলেও ভালই সামলেছেন। সংযোজনায় জয়িতা গোস্বামী অপূর্ব। |