সন্ধ্যা নামলেই জাতীয় সড়কের পাশের অন্ধকার ঘেরা ধাবা মায়াবী কোনও জগতে পরিণত হয়। আশপাশের গ্রামের যুবকেরাও কখনও কখনও সেই মায়ায় আকৃষ্ট হন। সাধারণ জনবসতি থেকে কিছুটা দূরের এই সব ধাবায় পরিচিত লোকজনের চোখের আড়ালে মেলে আমোদের হরেক উপাদান। |
তার চেয়েও খারাপ খবর হচ্ছে, এই সব যুবকেরা আস্তে আস্তে জড়িয়ে পড়েন নানা অপকর্মে। নাকাশিপাড়ার তৃণমূলের বিধায়ক কল্লোল খাঁ’র কথায়, “কিছু কিছু ধাবা আবার স্কুলের আশেপাশে গজিয়ে উঠেছে। ফলে ধাবার পরিবেশ খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাচ্ছে অপরিণত মনের ছাত্রছাত্রীরা। আমাদের দরকার এগুলো বন্ধ করার সব রকম চেষ্টা করা।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ও পলাশিপাড়ার বিধায়ক এসএম সাদি বলেন, “এই ক’দিন আগেও যখন মোবাইল পরিষেবা ছিল না, তখন কিন্তু ধাবাগুলোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ধাবাগুলোর মাধ্যমে তখন ট্রাক চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেত। তা ছাড়া এই ধাবাগুলোই ট্রাক-লরি চালকদের রাতের আস্তানা, খাবার পাওয়ার আশ্রয়। সে দিক থেকে ধাবাগুলোর ভূমিকা এখনও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চার দিকে যে অবক্ষয় শুরু হয়েছে, তার প্রভাব পড়ছে ধাবাগুলোতেও।” জেলাশাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “এই ধাবাগুলোর উপরে আমরা সব সময় নজর রাখি।” জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমণ মিশ্র বলেন, “আমরা ঠিকই খবর রাখি। কোনও খবর পেলে আমরা সোজাসুজি অভিযান করি।” |