কোথাও ‘লাদেন’, কোথাও বা তার নাম ‘লছিমন’। ইঞ্জিন চালিত ওই সব ভ্যানরিকশায় নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার কী গ্রাম, কী শহর সর্বত্র ছেয়ে গিয়েছে। কোনও রকম সরকারি স্বীকৃতি ছাড়াই গাড়ি গুলি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ওই গাড়িগুলি সাধারণত কেরোসিনে চলে। ফলে ইটভাটার চিমনির মতো কালো ধোঁয়া উদগীরণ করতে করতে গাড়ি গুলি ছুটে চলে অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল নিয়ে। ওই ধোঁয়ায় রয়েছে কার্বন মনোক্সাইড, মিথেন ও কার্বন ডাই অক্সাইড জীবকুল ও পরিবেশের পক্ষে যা চরম ক্ষতিকারক। কোনও রকম বিমাও করা নেই ওই যানবাহন গুলির। কোনও ধরণের দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা বিমা জনিত ক্ষতিপূরণ পেতে ও গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সমস্যায় পড়বেন। কারণ, মোটর ভেহিকল অ্যাক্ট অনুসারে পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত ইঞ্জিন চালিত যানবাহনের ও চালকের লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা নেই। কর্মসংস্থানের দোহাই দিয়ে পরিবেশ ও প্রাণ বিপন্ন করে ওই অবৈধ যানবাহন চলতে দেওয়া যায় না। ফলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পরিবহন দফতর ও পুলিশ প্রশাসন-সহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাই।
তরুণকুমার সিংহ, দেবগ্রাম
|
কৃষ্ণনগর-লালগোলা শাখার প্যাসেঞ্জার ট্রেনে দামি শীতল পানীয়ের পাশাপাশি স্থানীয় স্তরে উৎপাদন করা কম দামের শীতল পানীয় জলও বিক্রি হয়। এখন প্রশ্ন, স্থানীয় স্তরে তৈরি করা ওই পানীয় জল কতটা নিরাপদ? ওই শীতল পানীয় তৈরি করতে কতটা কীটনাশক মেশানো হচ্ছে? জেনে শুনে চোলাই মদ খেয়ে মারা যাওয়া এক ব্যাপার, আর না জেনে ওই সব পানীয় আমাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে না তো? স্থানীয় প্রশাসন ও আবগারী দফতরের ওই বিষয়ে মতামত কি? উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
সুরজিৎ মণ্ডল, ধুবুলিয়া
|
পর্যটন মরসুম চলছে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বহু ঐতিহাসিক নির্দশন সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসপ্রায়। এমনই একটি হল পলাশির যুদ্ধে শহিদ মির মদনের সমাধিস্থল। পলাশির যুদ্ধে নবাব সিরাজদ্দৌলার অন্যতম সেনাপতি ছিলেন মির মদন। যুদ্ধ চলাকালীন তিনি বীরের মৃত্যুবরণ করেন। পলাশির প্রান্তর থেকে কিছু দূরে মুর্শিদাবাদ জেলার রেজিনগরে মির মদনকে সমাধিস্থ করা হয়। মির মদনের সমাধিস্থলের পাশেই রয়েছে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ইরাক থেকে আগত ফরিদ পিরবাবার মাজার। এটিও একটি দর্শনীয় স্থান। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে ওই সমস্ত জায়গা গুলি পযর্টকদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত এই পবিত্র জায়গাগুলি ঘিরে সামান্য উন্নয়ন ও প্রচার করলে পর্যটকদের ঢল নামে। সেই সঙ্গে এলাকার মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়। শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার রেজিনগর স্টেশনটি শহিদ মির মদনের নামে রাখা হলে জায়গাটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আরও খানিকটা বাড়বে বলে মনে হয়।
শুভায়ু সাহা, বহরমপুর
|
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জাতীয় শিশু শ্রম প্রকল্প’ (এনসিপিএল) পরিচালিত মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার একটি শিশু শ্রমিক বিদ্যালয়ের আমি এক জন সহায়ক। কাজ শিক্ষকতা। জঙ্গিপুর মহকুমায় দেশের সর্বাধিক শিশু শ্রমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সংখ্যাটি ১৪০। নিজস্ব বিদ্যালয় ভবন না থাকায় কনকনে ঠাণ্ডায় হিমঝরা কুয়াশার সকালে অন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে হয়। ফের এপ্রিল-মে মাসে প্রচণ্ড গরমে সারা দেশে যখন সকালে স্কুল হয়, তখন শিশু শ্রমিকদের স্কুল চলে দুপুরে। নেই গরমের ছুটি ও বড়দিনের ছুটি। ছুটির নির্দিষ্ট কোনও তালিকাই নেই। শিশু শ্রমিকদের মূলস্রোতে ফেরানোর জন্য ওই প্রকল্প। অথচ নেই কোনও পরিকাঠামো। ‘সহায়ক’ নামের শিক্ষকদের মাসিক সাম্মানিক ভাতাও সামান্যমাত্র ৪০০০ টাকা। ফলে ওই প্রকল্পটির বিষয়ে ভাবনার সময় এসেছে।
শান্তনু সিংহ রায়, জঙ্গিপুর |