|
|
|
|
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই |
নদী সংস্কারের কাজ শুরু জানুয়ারিতেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কেলেঘাই-কপালেশ্বরী-বাগুই নদী সংস্কার প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী জানুয়ারি মাসেই। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় ওই নদী সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের পরে এ কথা জানান তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। ময়না পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে নদী সংস্কার প্রকল্পের পরিকল্পনা ও জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সেচ দফতরের সচিব অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, উপসচিব অমিতাভ ঘোষ, জেলা সভাধিপতি গান্ধী হাজরা, সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন, ময়নার বিধায়ক ভূষণ দোলুই, জেলাশাসক রাজীব কুমার-সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। ময়না ব্লকের উপর দিয়ে প্রবাহিত চণ্ডীয়া নদী সংস্কারের বিষয়েও আলোচনা হয়। তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু বলেন, “ওই প্রকল্পে প্রথমে চণ্ডীয়া নদী ছিল না। আমরাই উদ্যোগী হয়ে চণ্ডীয়া নদীকে প্রকল্পের আওতায় আনি। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আরও ৩৫ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।” বৈঠকে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে এই দুই নদীবাঁধের ভিতরের দিকে চর এলাকার সরকারি খাস জমি ও রায়তি মিলিয়ে মোট ৭৫.৭৯ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। নারকেলদা, বরুণা, আড়ংকিয়ারানা, বাকচা, ইজমালিচক, গোবরাদল ও চাঁদিবেনিয়া মৌজায় নদীবাঁধের ভিতরে স্রোত এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হবে। মোট জমির মধ্যে ৩৬.৩৯ একর সরকারি খাস জমি ও ৩৯.৪০ একর রায়ত জমি নেবে সেচ দফতর। সরকারি জমি অধিহগ্রহণ আইন মেনে জমিমালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে জমি জরিপের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারির পরে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। |
|
|
|
|
|