১৮০
উদ্যাপনের লগ্ন
কশো আশি বছরে পা দিল দক্ষিণ কলকাতার ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাইস্কুল। সম্প্রতি সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল গির্জায় ‘ধন্যবাদ-জ্ঞাপন উপাসনা’ দিয়ে সূচনা হয়েছিল উদ্যাপনের। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে মূল অনুষ্ঠানটি হবে।
প্রধান শিক্ষিকা অঞ্জলি দাস বলেন, ‘‘ফ্রেব্রুয়ারিতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। তা ছাড়া সারা বছর বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটিকে আরও উন্নত করার চেষ্টাও করছি।’’
কলকাতার অন্যতম প্রাচীন এই বিদ্যালয়ে এখন প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মোট প্রায় ২৪০০ ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক আছেন ৭০ জন। দৈনন্দিন পাঠক্রমের পাশাপাশি শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা, বিভিন্ন রকম সাংস্কৃতিক চর্চাও হয় নিয়ম করে। এখনও রোজ সকালে পিয়ানোর সুরে গাওয়া প্রার্থনা-সঙ্গীত দিয়ে আরম্ভ হয় পড়াশোনা।
‘লন্ডন মিশনারি সোসাইটি’-র পক্ষে রেভারেন্ড জে ক্যাম্পবেল ও তাঁর স্ত্রী শ্রীমতী ক্যাম্পবেল ১৮৩২-এ আলিপুরে মাত্র ২৪ জন ছাত্র নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তখন নাম ছিল ‘খ্রিস্টান বোডিং স্কুল’। কিছু পরে স্কুলটি খিদিরপুরে উঠে আসে এবং তখন থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা-সহ কিছু খ্রিস্টান ছাত্রীও ভর্তি করা হয় সেখানে। আরও পরে, ১৮৩৭-এ বিদ্যালয় উঠে আসে ভবানীপুরে। স্কুলটিতে গোড়ায় ছাত্ররাও ভর্তি হতে পারত।
১৯১৩-র ২৪ নভেম্বর প্রায় সাড়ে ন’বিঘা জমির উপরে তৈরি ৩ আশুতোষ মুখার্জি রোডের বর্তমান বিদ্যালয়-ভবনটির উদ্বোধন করেন লেডি কারমাইকেল। ১৯১৬-র মার্চে ‘ওয়েসলেয়ন মিশন’ ও ‘ব্যাপটিস্ট মিশন’ ‘খ্রিস্টান বোডিং স্কুল’-এর সঙ্গে মিশে ‘ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাইস্কুল’ নামে পরিচিত হয়। সে বছর স্কুলটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন পায় এবং ছাত্রীরা প্রথম ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় বসে।
স্কুলটির উজ্জ্বল প্রাক্তনীদের তালিকায় রয়েছেন সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্য, নাট্যকর্মী বিজয়লক্ষ্মী বর্মণ, অভিনেত্রী বাসবী নন্দী প্রমুখ।

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.