বাঁকাদহ রেঞ্জ লাগোয়া মিশ্রিশোলে একরাতে প্রায় ২০০ বিঘা আলু খেত নষ্ট করল হাতির দল। চাষিদের দাবি, “সরকার আমাদের জমি কিনে নিক। বার বার ফসলের ক্ষতি হলে আমরা অনাহারে মরব।” আরও প্রায় ১০০টি হাতির দল বিষ্ণুপুর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গড়বেতার রসকুণ্ডুর জঙ্গল পর্যন্ত এগিয়ে আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বনদফতরের কর্তারা। বাঁকাদহের রেঞ্জ অফিসার বলাই ঘোষ বলেন, “৫০টি হাতি তিনটি দলে ভাগ হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। হুলাপার্টির কর্মীরা হাতিদের তাড়া করলে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে তাঁরা ফিরে এসেছেন।” তাঁর অভিযোগ, “ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের হামলার ভয়ে এক বিট অফিসার কোয়াটার ছেড়ে চলে গিয়েছেন।”
মিশ্রিশোলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, একরাতে এক দল হাতি প্রায় ২০০ বিঘা জমির আলু সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিল। চেষ্টা করেও তাড়ানো গেল না। হাতির দলটি মিশ্রিশোলের পাশাপাশি ওই রাতে ফুলবনি, মাজুরিয়া, রাজপুর প্রভৃতি গ্রামের আলু খেতে হামলা চালায়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষি বংশী প্রতিহার, বসন্ত প্রতিহাররা বলেন, “সরকারের নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের টাকা খুবই কম। এ ভাবে আমাদের চলবে কী করে?” ডিএফও (বিষ্ণুপুর) বিদ্যুৎ সরকার বলেন, “ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের তাড়া করছএন। আরও ১০০টি হাতি বিষ্ণুপুরের কাছে চলে এসেছে। আরও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, “সরকার ক্ষতির টাকা বাড়ানোর চিন্তা করছে।” |