পঞ্চায়েত সদস্য প্রহৃত খানাকুলে |
দলীয় পতাকা তোলার ‘অপরাধে’ সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে খানাকুলের খামারগোড়ি গ্রামে। লক্ষ্মণ বাগ নামে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে পুলিশ ভর্তি করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। লক্ষ্মণবাবু রামমোহন ২ পঞ্চায়েতের সদস্য। তিনি বলেন, “মাসখানেক আগে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে আমাকে মারধর করে তৃণমূল। তৃণমূলের ছেলেরা আগেই আমাদের সব দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দিয়েছিল। সকালে দলের কিছু ছেলে শহিদবেদীতে দলীয় পতাকা তোলে। রাতে ওরা আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে লাঠিপেটা করে। ওদের বক্তব্য, আমিই নাকি গ্রামে দলের পতাকা তুলেছি।” তৃণমূল নেতা শৈলেন সিংহের মতে, কিছু সিপিএমএর দুষ্কৃতী নতুন দলে ঢুকে এই ধরনের কাজ করছে। তিনি বলেন, “আমরাও ঘটনার তদন্ত করছি। সিপিএমের দুষ্কৃতীরা দলে ঢুকে অশান্তি করলে কিছুতেই সহ্য করা হবে না।”
|
জমে উঠেছে ডোমজুড় বইমেলা। স্থানীয় প্রাচ্যভারতী স্টেডিয়াম মাঠে মেলা শুরু হয়েছে গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে। মোট ১০০টি স্টল হয়েছে। এর মধ্যে বইয়ের স্টল ৮০টি। কলকাতা থেকে নামী প্রকাশকেরাও মেলায় এসেছেন বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন। মেলায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। তবলাবাদক বিক্রম ঘোষ, মূকাভিনেতা যোগেশ দত্ত ছাড়াও নৃত্য ও সঙ্গীত জগতের বিশিষ্টেরা এসেছিলেন। মেলার উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। আয়োজক ‘সম্প্রীতি’-এর সম্পাদক বাপি ঠাকুর চক্রবর্তী বলেন, “আমরা মাইকে নিরন্তর ঘোষণা করছি, প্রত্যেকে যেন অন্তত দু’টি করে বই কেনেন। গত বছর মেলায় প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। এ বারে বই বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ লক্ষ টাকা।” কাল রবিবার মেলার শেষ দিন।
|
এক পরিচারিকার গলাকাটা দেহ মিলল। শুক্রবার, লিলুয়ার পান্নালাল বসাক লেনে। মৃতার নাম মিনা হেলা (৪০)। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মিনাদেবীর স্বামী সোনি হেলা ওরফে রাজু গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় সোনি স্বীকার করেছে, সে-ই মিনাকে খুন করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গোবিন্দ ঝা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে কাজ করতেন মিনা। বাড়িটির পিছন দিকের একটি সরু গলি মতো জায়গায় রয়েছে বাড়ির কাজের লোকদের শৌচাগার। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ নূপুর তিওয়ারি নামে এক পরিচারিকা শৌচাগারে গিয়ে মিনার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।তাঁর চিৎকারেই বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, এ দিন সকালে মিনা ও সোনি গোবিন্দবাবুদের বাড়িতে কাজে আসেন। কিছুক্ষণ পরে সোনি বেরিয়ে গেলেও মিনা বেরোননি। বাড়ির লোকেরা ভেবেছিলেন, মিনা বাড়ির পিছনের দিকে কাজ করছেন। এর পরেই সোনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তখনই সোনি নিজের স্ত্রী-কে খুনের কথা স্বীকার করে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) সুকেশ জৈন বলেন, “পারিবারিক অশান্তির জেরেই সোনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করে বলে স্বীকার করেছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায় রয়েছে, সেটাও সে পুলিশকে জানাবে বলেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।” |