|
|
|
|
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গোঘাটে আহত ২০ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে তেতে ওঠে গোঘাটের বদনগঞ্জ এলাকা। মার এবং পাল্টা মারের ঘটনায় আহত হন ২০ জন। তাঁদের মধ্যে ২ জনকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল এবং ৭ জনকে কামারপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি হচ্ছে। এলাকায় পুলিশ টহল রয়েছে। তৃণমূূল অবশ্য গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানতে চায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা অনুপ ঘোষের নেতৃত্বে কিছু দলীয় কর্মী-সমর্থক বদনগঞ্জ বাজারে জড়ো হন। ব্যবসায়ীরা গোলমালের আশঙ্কা করেন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন ঘটনার কথা জানান তৃণমূলের অন্য দুই নেতা সাজাহান খান এবং হরেরাম রায়কে। ওই দুই নেতাও দলবল নিয়ে ওই বাজারে চলে আসেন। দু’পক্ষের মধ্যে ইট ছোড়াছুড়ি শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দু’পক্ষের লোকজনই পালায়।
এর পরে ফের গোলমাল বাধে শুক্রবার সকালে। অনুপবাবুর অনুগামীরা বদনগঞ্জ বাজারে বহরাশোল গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল সমর্থক জুলফিকার খানকে মারধর করে বলে অভিযোগ। জুলফিকার হরেরাম ও সাজাহান গোষ্ঠীর অনুগামী হিসাবে পরিচিত। সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে এর পরে অনুপবাবুর কয়েক জন অনুগামীর উপরে ওই বাজারেই হরেরামবাবু ও সাজাহানের অনুগামীরা পাল্টা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
অনুপবাবুরা লিখিত ভাবে থানায় অভিযোগ জানালেও মুখে গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানতে চাননি। অনুপবাবু বলেন, “শুক্রবার সকালে ওই বাজারে আমরা বেআইনি ভাবে মদের ব্যবসার বিরুদ্ধে মিছিল করছিলাম। বিনা প্ররোচনায় সিপিএমের মদতপুষ্ট কয়েক জন আমাদের উপরে হামলা চালিয়েছে।” সিপিএম অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হরেরামবাবু বলেন, “ওই বাজারে কোনও মিছিলই হচ্ছিল না। কিছু মাতাল জড়ো হয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা তোলার জন্য আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছিল। আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছি। সাধারণ মানুষও প্রতিবাদ করেন।” গোষ্ঠীকোন্দলের কথা অস্বীকার করে দলের তরফে আরামবাগ মহকুমার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদার বলেন, “পুলিশকে বলাই আছে, শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হলে কড়া ব্যবস্থা নিতে।” |
|
|
|
|
|