|
|
|
|
অগ্নিনির্বাপণ প্রক্রিয়া শেখালেন দমকল কর্মীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
আগুন প্রতিরোধের মহড়া হল আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগীর তত্ত্বাবধানে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে উপস্থিত ছিলেন মহকুমার বিডিও ও স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। হাসপাতালের সুপার-সহ শহরের অন্যান্য নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষও এসেছিলেন। আমরি-কাণ্ডের পরে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার মতোই আরামবাগ মহকুমা জুড়ে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করে প্রশাসন ও দমকল কর্তৃপক্ষ। নার্সিংহোমগুলির ক্ষেত্রে বেশ কিছু গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থায় তাঁদের করণীয় কী, সে কথা বোঝাতেই বিভিন্ন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে এ দিন ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে মহকুমা প্রশাসন সূত্রের খবর। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
আগুন লাগলে কী ভাবে তা নেভানো হবে, তার প্রাথমিক উপায়গুলি দেখান দমকল কর্মীরা। রান্নাঘরের পাশে একটি বাতিল শয্যার উপরে কিছু ন্যাকড়ার পুঁটলিতে আগুন জ্বালিয়ে মহড়া হয়। অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারগুলির ব্যবহারের প্রক্রিয়া, কোন আগুন নেভাতে কি উপাদান ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কেও হাতেকলমে দেখানো হয়। যেমন, সব ধরনের আগুনের ক্ষেত্রেই ‘ড্রাই কেমিক্যাল পাউডার’, বৈদ্যুতিক কারণে আগুন লাগলে শুধুই কার্বন-ডাই-অক্সাইড সিলিন্ডার ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। আবার তেল থেকে আগুন ছড়ালে ফোম ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন আগুনে একটানা জল দেওয়া যাবে, কোন আগুনে ‘ঝটকা’য় জল দিতে হবে তা-ও বলেন দমকল কর্মীরা। হাসপাতালে জোগান না থাকায় মহড়ায় ফোমের ব্যবহার দেখানো যায়নি। এমনকী ২টি ‘ড্রাগ পাউডার সিলিন্ডার’ কোনও কাজ করেনি। দমকল কর্মীরা সিলিন্ডারের মুখের ভালভ্টিতে চাপড় মেরেও কিছু বের করতে পারেননি। এতে প্রকাশ্যেই হাসির রোল ওঠে। ঈষৎ বিব্রত মহকুমাশাসক বলেন, “সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লোকেরা পৌঁছতে পারেননি। তাঁরা এসে সিলিন্ডারগুলি পরীক্ষা করবেন।” |
|
|
|
|
|