অবশেষে এক লপ্তে ২২৪ একর জমি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় (এএমইউ) কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিল নীতীশ সরকার। কিষাণগঞ্জে এএমইউ ক্যাম্পাস তৈরির জন্য নির্দিষ্ট এই জমিটি আজই হস্তান্তর করা হয়েছে।
কিষেণগঞ্জে এই ক্যাম্পাস তৈরির জন্য এর আগেও সরকার জমি নির্দিষ্ট করেছিল। কিন্তু জমিটি খণ্ড খণ্ড থাকায় এএমইউ কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানায়। ক্যাম্পাস তৈরির বিষয়টি ঝুলে যায়। মাস কয়েক আগে এই ব্যাপারে নীতীশের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দল নির্বিশেষে কিষেণগঞ্জে রেল অবরোধে নামে বিভিন্ন সংগঠন। সেই রেল অবরোধ নিয়ে নীতীশের সমালোচনায় মুখর হন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদী। মুখ খোলেন নীতীশও। উল্লেখ্য, কিষেণগঞ্জের এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গের এক তৃণমূল বিধায়কের যোগদান নিয়েও প্রভূত জলঘোলা হয়। বিষয়টি নিয়ে মমতা হস্তক্ষেপ করেন। তাঁর নির্দেশে, নীতীশের কাছে রেলমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশও করেন। তখনই নীতীশ সাংবাদিকদের জানান, একলপ্তে ২২৪ একর জমি রাজ্য সরকার খুঁজছে। জমি চিহ্নিত করতে পারলেই তা এএমইউ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আজ এএমইউয়ের উপাচার্য পি কে আব্দুল আজিজের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কিষেণগঞ্জের জেলাশাসক সন্দীপ পুড়কাকুট্টি। জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী বীজেন্দ্রপ্রসাদ যাদব, মানবসম্পদ উন্নয়ন সচিব অঞ্জনি কুমার সিংহ, কিষেণগঞ্জের কংগ্রেস সাংসদ মওলানা আশরারুল হক কাশমি প্রমুখ। |