|
|
|
|
|
|
|
নৃত্য সমালোচনা... |
|
অনন্য নৃত্যধারায় অসাধারণ গান |
বারীন মজুমদার |
আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে নান্দনিক মণিপুরি ডান্স অ্যাকাডেমির পরিচালিকা পৌষালী চট্টোপাধ্যায় মণিপুরি এবং ওড়িশি নৃত্যের সংমিশ্রণে ফুটিয়ে তুলেছেন সমবেত নৃত্যের এক বিশিষ্ট রূপ। তিনি দু’টি নৃত্যধারারই সংমিশ্রণ ঘটিয়েছেন সমবেত ভাবে। প্রথমার্ধের নৃত্যনির্মিতিগুলি ছিল গুরু বিপিন সিংহ, ওঝা বাবু সিংহ ও গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের, যেগুলিকে পরিচালিকা অর্পিতা ভেঙ্কটেশ পুনর্নিমিত করেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে ছিল ‘হৃদয়নন্দন’, যার বিষয়বস্তু হল রবীন্দ্র নৃত্যনাট্যে নবরসের বর্ণনা। তানুম পল্লবী (মণিপুরির তানুম-ওড়িশির পল্লবী), মণিপুরির পুঙ্গ ও ওড়িশির মঞ্জিরা নিয়ে ‘মৃদঙ্গ মঞ্জরী’ ও দশাবতার এই তিনটি নৃত্যকলায় সমগ্র দলের যে নান্দনিক সুষমা ছিল তা নিছক প্রকরণ নৈপুণ্যের পালিশ নয়, নৃত্যকলায় অনুরাগই তার উৎস। পোশাকে দু’টি রংয়ের সুন্দর ব্যবহারও দৃষ্টিনন্দন। জাগোই, চোলম লাইহারোবা, থাংতা প্রভৃতি মণিপুরি নৃত্য আঙ্গিক ব্যবহৃত হয়েছে নবরসে। শ্যামা, চিত্রাঙ্গদা, কালমৃগয়া, ভানুসিংহের পদাবলী, চণ্ডালিকা প্রভৃতি নৃত্যনাট্যগুলির গানের ব্যবহারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নয়টি রস। পৌষালী তার দলের নৃত্য চিত্রকল্পের সুচারু পরিচ্ছন্নতায় দর্শকচিত্ত জয় করেছিল সহজেই। সঙ্গীতাংশে সুছন্দা ঘোষ ও অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই নাটকীয়তার মধ্যে দিয়েই গানগুলিকে পরিবেশন করেছেন। বিশেষ করে শ্যামায় সুছন্দার ‘তোমা লাগি’ খুব ভাল। এ ছাড়াও সঙ্গীতাংশে ছিলেন অতসী চট্টোপাধ্যায়, সুবর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমনা ঘোষ প্রমুখ। কণিষ্ক সেনের আলো সুন্দর পরিমণ্ডল রচনা করেছিল। |
|
|
|
|
|