পড়া বলতে না পারায় ডাস্টার দিয়ে মেরে নার্সারির ছাত্রীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা, সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খানের বিরুদ্ধে। চার বছরের ওই ছাত্রীর বাবা জামুড়িয়ার কেন্দা ফাঁড়িতে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, দলের জেলা সম্মেলন উপলক্ষে গত তিন দিন ধরে তিনি দুর্গাপুরে রয়েছেন।
জামুড়িয়ার দক্ষিণ পরাশিয়ায় একটি ইসিএলের আবাসনে চলা ওই স্কুলটি পরিচালনা করেন বিধায়ক জাহানারা খান নিজেই। নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় সেখানে। বছর পাঁচেক আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি থাকাকালীন ওই আবাসনে স্কুলটি চালু করেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। তিনি ছাড়াও রয়েছেন চার জন শিক্ষিকা। স্থানীয় বাসিন্দা মহেশ জেডিয়া জানান, এ দিন সকাল ৮টা নাদাগ তাঁর মেয়ে, ওই স্কুলের ছাত্রী খুশি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে। সে জানায়, পড়া বলতে না পারায় জাহানারা তাকে ডাস্টার দিয়ে মাথায় মারে। রক্ত বেরোতে দেখেই তাকে বাড়ি চলে যেতে বলে। মহেশবাবুরা খুশিকে বাহাদুরপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কেন্দা পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। |
স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, ঘটনার কথা শুনে তাঁরা স্কুলে জাহানারার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু ততক্ষণে স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের তরফে মিছিল ও কেন্দা ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনার পর থেকে জাহানারার সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। তবে সিপিএমের অজয়-জামুড়িয়া জোনাল সম্পাদক মনোজ দত্ত এবং নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জামুড়িয়া জোনাল সভাপতি বিনয়স্নো মণ্ডল বলেন, “বুধবার থেকে জাহানারা খান জোনালের প্রতিনিধি হিসেবে দুর্গাপুরে দলের জেলা সম্মেলনে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
ইসিএলের পরাশিয়া কোলিয়ারির এজেন্ট ডি পি সিংহ বলেন, “আমাদের আবাসন দখল করে কোনও স্কুল চলছে বলে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |