রাজ্য কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী বর্ধমান জেলা কমিটির আয়তন কমিয়ে ফেলল সিপিএম। জেলা সম্পাদক হিসেবে রয়ে গেলেন অমল হালদারই। তবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হল ‘কমবয়সী’ পাঁচ জনকে। এ ছাড়া স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে জায়গা পেলেন আরও ছ’জন।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ৮৮ জন। রাজ্য কমিটি সম্প্রতি নির্দেশ পাঠায়, ছোট অথচ ‘কার্যকরী’ জেলা কমিটি গড়তে হবে। সদস্য সংখ্যা যেন কোনও ভাবেই ৭০ না ছাড়ায়। তবে এই জেলায় সেই নির্দেশ কার্যকর করতে খুব একটা সমস্যা হয়নি বলে জানান জেলা সম্পাদক অমলবাবু। তাঁর কথায়, “বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আগেই সরে যেতে চেয়েছিলেন অনেকে।” দল সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত তেমন ২৫ জন সরে দাঁড়িয়েছেন। পুরনো ৬৫ জন এবং নতুন ৫ জনকে নিয়ে কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
কমিটিতে নতুন এসেছেন হিরাপুরের মনোজ মুখোপাধ্যায়, জামুড়িয়ার মনোজ দত্ত, রানিগঞ্জের রুনু দত্ত, পূর্বস্থলীর সুব্রত ভাওয়াল এবং বর্ধমান সদরের মেহবুব আলম। তাঁরা নিজেদের এলাকার জোনাল কমিটিরও সম্পাদক। অমলবাবু বলেন, “ওঁরা প্রত্যেকেই অপেক্ষাকৃত কমবয়সী। প্রবীণ ও নবীনদের সম্মিলিত উদ্যোগে পরিচালিত হবে সংগঠন।” |
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অন্য সব জেলার মতোই এখানেও আগেই ‘শুদ্ধকরণ’ প্রক্রিয়ায় জোর দিয়েছে সিপিএম। নিষ্ক্রিয়তা, দলীয় অনুশাসন না মেনে চলা প্রভৃতি কারণে জেলায় ২১ হাজারের মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি কর্মীর দলীয় সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এক শ্রেণির পার্টি কর্মীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি তেমন ১৭ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া সংগঠন জোরদার করতে জেলার জোনাল কমিটির সংখ্যা ২৪টি থেকে বাড়িয়ে ২৬টি করা হয়েছে।
বুধবার থেকে দুর্গাপুরে শুরু হওয়া তিন দিনের জেলা সম্মেলনে মোট ৫৪৪ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। শুক্রবার সম্মেলন শেষে গাঁধী মোড় ময়দানে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের পলিটব্যুরো সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং নিরুপম সেন। |