অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র তৈরির কাজ ধীরগতিতে চলার জন্য ক্ষোভ বাড়ছে কোচবিহারের হলদিবাড়িতে। এলাকায় একটি অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র খোলার জন্য ২০০৯ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১০ সালের গোড়ায় কাজ শুরু হয়। ২০১১ সালের গোড়ায় হলদিবাড়ির বাসিন্দারা আশা করেছিলেন যে অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রটি কাজ কাজ শুরু করবে। বছর গড়িয়ে গেলেও এখনও অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রটির কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রটি চালু করতে হবে। |
হলদিবাড়িতে অসমাপ্ত অবস্থায় দমকল কেন্দ্র। ছবি: রাজা বন্দ্যেপাধ্যায়। |
হলদিবাড়ি পুরসভা এবং হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রটি চালু করার জন্য বার বার আবেদন করা হয়েছে। হলদিবাড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ এবং হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রানেশ্বর মৈত্র বলেন, “বিডিওর মাধ্যমে অবিলম্বে অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্র চালু করার জন্য অনেকবার আবেদন করেছি। আমাদের কথার কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এখন খরার সময়। এই সময় অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রটি চালু হওয়া খুব জরুরী।” হলদিবাড়ির অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রটি কোচবিহার জেলা পরিষদের তত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি দিলীপ বিশ্বাস বলেন, “অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রটির ভবন তৈরির কাজ চলছে। আশি ভাগ শেষ হয়েছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে বিদ্যুৎ এবং জলের পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। এই কাজগুলি দ্রুত শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে।” জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায় যে অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রটি তৈরির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। তার মধ্যে বিল্ডিং বানানোর জন্য ৩২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। বাকি টাকা বিদ্যুৎ, জলের ব্যবস্থা এবং অন্যান্য খাতে ব্যয় করা হবে। |