স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নয়নের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার দুপুরে এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ডালিমগাঁও স্টেশনে প্রায় এক ঘন্টা রাধিকাপুর-কাটিহারগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা ওই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে স্টেশনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যাত্রীরা বিনা টিকিটে ট্রেনে চড়তে বাধ্য হচ্ছেন। টিকিট না থাকায় বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের কাছ থেকে রেল কর্তৃপক্ষ জরিমানা আদায় করছেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানানো হলেও রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের জন্য শৌচাগার ও পরিশ্রুত পানীয় জলের পরিকাঠামো গড়ে তোলেননি। স্টেশনে বিদ্যুদায়নের কাজ না হওয়ায় আলোর অভাবে সন্ধ্যার পর যাত্রীরা ট্রেন ধরতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়ছেন। আন্দোলনকারীদের তরফে অসিত দাস বলেন, “অবিলম্বে স্টেশনে টিকিট কাউন্টার খোলার পাশাপাশি স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা না হলে বাসিন্দারা অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধ করতে বাধ্য হবেন।” বস্তুত, ডালিমগাঁও স্টেশনের ওপর দিয়ে রাধিকাপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ হয়ে রায়গঞ্জ রুটের বিভিন্ন প্যাসেঞ্জার ট্রেন সহ কলকাতা ও দিল্লিগামী ট্রেন যাতায়াত করে। প্রতিদিন ওই স্টেশনে রাধিকাপুর কাটিহারগামী তিনজোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন দাঁড়ায়। ১৯২৭ সালে ইংরেজ আমলে স্টেশনটি তৈরি হলেও এখনও পর্যন্ত যাত্রী পরিষেবার স্বার্থে রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করেননি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম ভূষণ পটেল বলেন, “কর্মীর অভাবে ওই স্টেশনের টিকিট কাউন্টার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে খুব শীঘ্রই কর্মী পাঠিয়ে পুনরায় কাউন্টার খোলা হচ্ছে। পাশাপাশি, স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নয়নের ব্যাপারে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।” |