আগেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভবনে ক্লোজ-সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। নজরদারি বাড়াতে এ বার হাসপাতাল-ভবনেও সিসি ক্যামেরা বসানো হল। আপাতত ছ’টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তবে, পরবর্তীতে প্রতিটি ওয়ার্ডেই সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারী সুপার শ্যামল পট্টনায়েক বলেন, “অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এমনিতেই নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এ বার সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও নজরদারি চলবে।” তাঁর কথায়, “এর ফলে কোথাও কিছু হলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনো সম্ভব হবে।” |
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এখন সব মিলিয়ে ৫৬০টি শয্যা রয়েছে। যদিও প্রায়ই এর থেকে ঢের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। ফলে এই হাসপাতালের উপরে ‘চাপ’ যথেষ্টই। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ১৫০ শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু তার আগে পরিকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি। এখন তারই প্রস্তুতি চলছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতি দিন কয়েকশো রোগী আসেন। তাঁদের সঙ্গে থাকেন আত্মীয়েরা। পরিষেবা সংক্রান্ত নানা অভাব-অভিযোগে মাঝেমধ্যেই এখানে গোলমাল বাধে। কখনও চিকিৎসকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রোগীর আত্মীয়েরা। আবার কখনও বচসা বাধে নার্স-হাসপাতাল কর্মীদের সঙ্গেও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে এই সব ঘটনা কমবে বলেই কর্তৃপক্ষের ধারণা। হাসপাতালের এক কর্তা বলেন, “কোথায় কী হচ্ছে, সব সময়েই তা নজরে রাখা যাবে। কোথাও জটলা দেখলেই দ্রুত সেখানে পৌঁছনো যাবে।” তাঁর কথায়, “অনেক সময়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছনো যায় না বলেই ছোট গোলমাল বড় আকার নেয়। সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।”
মেডিক্যালের জরুরি বিভাগের সামনেও সব সময়েই ভিড় থাকে। তার পাশেই বহির্বিভাগ। এখানেও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়াও সুপারের রুমের সামনে, পুরনো বিল্ডিংয়ের একতলায়, বিধান ব্লকে ঢোকার মুখে সিসি ক্যামেরা বসেছে। ক্যামেরার সঙ্গে যোগ রয়েছে মনিটরের। মনিটর রাখা হয়েছে সুপার, সহকারী সুপারের ঘরে। হাসপাতালের এক কর্তার কথায়, “জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা এখানে আসেন। রোগীর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, এমন অনেকে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে হাসপাতালে ঢুকে পড়েন। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। ক্যামেরা বসালে এ সবের উপরে নজর রাখা যাবে।” |