সে একশো বছর আগের কথা। হাতে গোনা কয়েকজন মিলে একটা ক্লাব গড়েছিলেন। মূলত বিনোদবিহারি সরকার, হিরালাল ঘোষ, ননীগোপাল চক্রবর্তী সহ এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বন দফতরের কয়েকজন অফিসার মিলে গড়ে তোলেন ক্লাবটি। নাম দেন গয়েরকাটা রিডিং ক্লাব। কালক্রমে ক্লাবটি হয়ে বাসিন্দাদের শিক্ষা,সংস্কৃতি ও খেলাধুলা চর্চার মূল কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। দেখতে দেখতে সেই ক্লাব ১০০ বছরে পা দেয়। তা নিয়ে এক বছর ধরে চলছে নানা অনুষ্ঠান। গয়েরকাটাতে আগামী ৩১ জানুয়ারি ক্লাবের শতবর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠান শুরু হবে প্রভাত ফেরির মধ্য দিয়ে। টানা ৫ দিন গয়েরকাটা ফুটবল মাঠে স্থানীয় ও কলকাতা সহ বাংলাদেশের শিল্পীদের নিয়ে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কর্তারা জানান, একদিকে খুট্টিমারী জঙ্গল ও চার দিকে চা বাগানে ঘেরা ছোট্ট জনপদে স্থানীয় মানুষ ও বন দফতরের অফিসাররা মিলে ১৯১২ সালে রিডিং ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। পাঠাগারের উদ্দেশ্যে ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হলেও কিছু দিনের মধ্যে ক্লাব প্রাঙ্গণে শিশুদের স্কুল তৈরি করা হয়। ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত থেকে এক সময় বহু নাটক করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা বিমল সরকার। এখন বয়স ৭৫। বিমলবাবুর কথায়, “ক্লাবটি হল গয়েরকাটাবাসীর হৃদয়।” গয়েরকাটার বাসিন্দা সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার বলেন, “সে সময় মেয়েরা নাটক করার অনুমতি পেত না। দেখতাম ছেলেরা মেয়ে সেজে অভিনয় করছে। রিহার্সালের সময় ক্লাবে ছোটদের প্রবেশাধিকার ছিল না। এলাকার সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে এই রিডিং ক্লাবের গুরুত্ব অপরিসীম।” |