পর পর তিনটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ার জয়পুর থানার জরকা গ্রামে। দুষ্কৃতীরা দুই বাড়ির মালিককে মারধর করে বলে অভিযোগ। ক্ষোভে এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা প্রথমে উত্তম সাটের বাড়ির লোহার দরজা ভেঙে বাড়ির সব সদস্যদের হাত-পা-মুখ বেঁধে অবাধে লুঠপাট চালায়। পরে তাঁর কাকা চৈতন্য সাট এর বাড়ির দরজা ভেঙে চলে লুঠপাট। বাধা দিতে গেলে তার বউমা কল্যাণীদবীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর হাতে ও মুখে চোট লেগেছে। বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে কল্যাণীদেবীর।
একই ভাবে দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন পাশের বাড়ির জয়দেব দাস কর্মকারের স্ত্রী অঞ্জলি দেবী। তাঁর হাতে ও মুখে ভোজালি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাঁরও বাড়িতেই চিকিৎসা হয়েছে। উত্তমবাবু বলেন, “ঘরের দরজার তালা ভেঙে ঢুকে দুষ্কৃতীরা আমাদের হাত-পা-মুখ বেঁধে দেয়। বাবা-মার হাত-পা বেঁধে একটি ঘরে ঢুকিয়ে বাইরে থেকে শিকল তুলে দেয় তারা।”
উত্তমবাবু জানান, কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে পরিস্কার বাংলায় কথা বলছিল ওরা। সোনা, রূপোর গয়না সবই নিয়ে গেছে। একই পদ্ধতিতে পেশায় কামারশালার কর্মী জয়দেববাবুর ঘরে ঢুকে কেড়ে নেয় নগদ টাকা ও সোনা, রূপার গয়না। তিনি বলেন, “প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্রশস্ত্র ছিল। আমার স্ত্রী কানের দুল খুলে দিতে প্রথমে না চাওয়ায় ভোজালি দিয়ে আঘাত করে।” তাঁদের দাবি, পুলিশ তদন্ত করে তাদের ধরুক। গ্রামবাসী সাগর মণ্ডল বলেন, “ গত বছর ১২ই অগস্ট আমার বাড়ির সর্বস্ব লুঠ করেছিল দুষ্কৃতীরা। কিছুই ফেরত পাইনি। এক বছর ব্যবধানে ফের ডাকাতি হওয়ায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমাদের গ্রামে একটি পুলিশ ক্যাম্পের দাবি জানাচ্ছি।’’ বিষ্ণুপুরের এসডিপিও দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তাঁর দাবি, “গত বছরের ডাকাতির কিনারা হয়েছিল। গ্রেফতারও হয়েছিল। ওই এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্পের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই অনুমোদন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।” |