বিষ্ণুপুর মেলা শেষ হতে না হতেই বুধবার থেকে শুরু হয়ে গেল পর্যটন দফতর আয়োজিত তিনদিনের বিষ্ণুপুর পর্যটন ও সংস্কৃতি উৎসব। এ দিনই রঘুনাথপুরে শুরু হয়েছে জয়চণ্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসব।
বিষ্ণুপুর পর্যটন উৎসব এ বার চারবছরে পা রাখল। বিষ্ণুপুর হাইস্কুল মাঠে উৎসব শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই রয়েছে দেশের খ্যাতনামা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পীদের সঙ্গে বিষ্ণুপুর ঘরাণার প্রবীণ ও তরুণ শিল্পীদের অনুষ্ঠান। সেই সঙ্গে রয়েছে বহিরাগত নামী নৃত্য শিল্পীদের কত্থক ও ভারতনাট্যম। প্রথম দিন ওস্তাদ রশিদ খান ও সুজিত গঙ্গোপাধ্যায় আসর মাতালেন। কত্থক নৃত্য পরিবেশন করলেন পারমিতা মৈত্র ও নৃত্যাঙ্গন কত্থক কেন্দ্রের শিল্পীরা। |
পর্যটন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে রয়েছে পণ্ডিত দেবজ্যোতি বোসের সরোদ, অনিতা মল্লির ও সারস্বত সংস্কৃতি কেন্দ্রের ভারতনাট্যম, কুমার মুখোপাধ্যায়, গুরুপ্রসাদ সরকার, বামাপদ চক্রবর্তী, অমিত দে’র শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। উৎসবের শেষ দিন শুক্রবার পরিবেশিত হবে সন্দীপন সমাজপতি, দোলন মজুমদার, সুভাষ কর্মকার, জগন্নাথ দাশগুপ্তর সংগীতানুষ্ঠান, পার্থ বোসের সেতার, ওস্তাদ সাবির খানের তবলা ও সাইনি ছাপদার কত্থক।
অন্য দিকে, ষষ্ঠ জয়চণ্ডী পাহাড় পর্যটন উৎসবের উদ্বোধন করেন প্রাক্তন ফুটবলার পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিলাসিবালা সহিস। রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক আবিদ হোসেন, এসডিপিও (রঘুনাথপুর) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, ডিভিসি’র মুখ্যবাস্তুকার জে কে সিংহ প্রমুখ। উৎসব কমিটির সম্পাদক সুকুমার মণ্ডল জানান, এ বছর উৎসব সাত দিনের পরিবর্তে কমিয়ে পাঁচ দিন করা হয়েছে। মূল মঞ্চে পাঁচ দিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। পি কে বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জয়চণ্ডী পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ভিত্তি করে এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।” |