|
|
|
|
পশ্চিমে উদ্যোগী জেলা প্রশাসন |
পাঁচ বছরেই বাড়ি সমস্ত ভূমিহীনকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সমস্ত ভূমিহীনের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। পাঁচ বছরের মধ্যে সমস্ত ভূমিহীনকে বাড়ি করে দিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে ‘বিশেষ ভাবে উদ্যোগী’ হওয়ার নির্দেশ এসেছে সম্প্রতি। জেলায় গৃহহীন-ভূমিহীনদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি কী ভাবে জমি দেওয়া হবে, কোন প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করা হবেসে বিষয়েও প্রস্তাব তৈরি করতে বলা হয়েছে। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “পাঁচ বছরের মধ্যেই সমস্ত ভূমিহীনকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আমরা জেলায় সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছি।”
জেলার প্রতিটি ব্লকেই জমি কেনা ও পাট্টা বিতরণের জন্য কমিটি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিডিও, ব্লক ভূমি ও ভূমিসংস্কার আধিকারিক, ব্লক কৃষি আধিকারিকেরা এই কমিটির সদস্য। তাই তাঁদেরই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভূমিহীনদের তালিকা তৈরি করার। আগেও এই প্রকল্পটি ছিল। তবে তার নাম ছিল ‘চাষ ও বসবাসের জন্য ভূমিদান প্রকল্প’। সেই প্রকল্পে নির্দেশ ছিল--এক জন ভূমিহীনকে তেমন ভাবেই জমি দিতে হবে যাতে সেই জমির মধ্যে একটা ছোট বাড়ি করা যায়। তেমনই বাড়ির সামনে এক খণ্ড জমিতে সামান্য কিছু সব্জি চাষও যাতে করা যায়। আগের প্রকল্পের নাম পাল্টে এ বার হয়েছে ‘নিজ-ভূমি ও নিজ-বাড়ি প্রকল্প’। এই প্রকল্পে এক-এক জনকে ৫ ডেসিমেল পর্যন্ত জমি দেওয়া হবে। আর সেই জমির উপরেই বাড়ি করে দেবে সরকার।
এ জন্য জমি পেতে কোথায় কোথায় খাস-জমি রয়েছে, তা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে ব্লক প্রশাসনকে। যদি পর্যাপ্ত খাস-জমি না থাকে বা খাস-জমি বাড়ি তৈরির উপযোগী না হয়, সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসাবে রায়তি জমি দেখতে বলা হয়েছে। সরকার সেই রায়তি জমি কিনে গরিবদের বিলি করবে। তার পর ইন্দিরা আবাস যোজনা, লোধা আবাসন প্রকল্প-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। বাড়িটি বসবাসের উপযোগী করতে পরিকাঠামোও তৈরি করে দেবে সরকার। একটি এলাকায় একাধিক মানুষের জন্য জমি নিয়ে বসতিযোগ্য এলাকা তৈরি করা হবে। যেখানে পানীয় জল, রাস্তা, শৌচাগার, আলোর ব্যবস্থা, পুকুর খনন, মাছ চাষ, গাছ লাগানো, বাগান তৈরি-সহ বিভিন্ন কাজ করা হবে। এ বিষয়ে সমস্ত দফতরকে নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলাশাসক। এক দিকে যেমন দ্রুত ভূমিহীনদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে, তেমনই কোথায় জমি রয়েছে--তাও চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। আর জমি চিহ্নিত হলেই সেখানে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের পাঠানো হবে। তাঁরা সমীক্ষা করে রিপোর্ট দেবেন কী ভাবে এলাকাটিকে বসবাসের উপযোগী করা যায় বা সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়। তার পরেই কাজ শুরু হবে। |
|
|
|
|
|