পঞ্চায়েতের কাজ দেখতে জেলায় স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েতের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এল বিধানসভার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিনিধিদল। দুপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন প্রতিনিধিরা। দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে ওই বৈঠক। একশো দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম-সড়ক যোজনার কাজে গতি নেই বলে অভিযোগ উঠেছিল। পর্যালোচনায় দেখা যায়, এই দু’টি প্রকল্পই আশানুরূপ ভাবে এগোয়নি। ব্যর্থতা রয়েছে। |
|
মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক। নিজস্ব চিত্র। |
বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ চেয়ারম্যান অর্ধেন্দু মাইতি-র নেতৃত্বে স্ট্যান্ডিং কমিটির চার সদস্যের দল মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছয়। দুপুর একটা নাগাদ প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য-সহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের আধিকারিকেরা। পশ্চিম মেদিনীপুরে গত ছ’মাস ধরেই বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত কার্যত অচল হয়ে রয়েছে। স্বাভাবিক কাজকর্ম হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলি সিপিএমের হাতে রয়েছে। জেলা পরিষদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতগুলিকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি দেখে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিডিও-দের। এর ফলে পঞ্চায়েতের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে।
স্ট্যান্ডিং কমিটির সঙ্গে বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন সভাধিপতি। তাঁর বক্তব্য, “এখন তো বিডিও-রাই সমস্ত প্রকল্পের দেখভাল করছেন। অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতার অভাব থাকছে। ফলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হচ্ছে।” কমিটি অবশ্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে জেলা পরিষদের সমন্বয় রেখেই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। বৈঠকের শেষে অর্ধেন্দুবাবু বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে কাজ এগোতে সমস্যা হচ্ছে। একশো দিন প্রকল্পে জেলায় আশানুরূপ কাজ হয়নি। কাজের গতি বাড়াতে হবে। জমির চরিত্র পরিবর্তন ও মিউটেশনের ফাইল পড়ে থাকে। দ্রুত কাজ হয় না। আবেদনপত্র ফেলে রাখা যাবে না। প্রয়োজনে পঞ্চায়েত-স্তরে ক্যাম্প করে মিউটেশনের কাজ করতে হবে।” |
|