|
|
|
|
উৎসবের মরসুমে ভিড় বাড়ছে পার্কে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শীতের রোদ গায়ে মেখে সবুজের মাঝে ঘুরে বেড়াতে কার না ভাল লাগে!
তার উপর উৎসবের মরসুম। স্কুল-কলেজে এখন শীতের ছুটি। আর ক’দিন পরে শুরু হবে নতুন বছর। ফলে এই সময় এমনিতেই পার্কে ভিড় থাকে। কিন্তু এ বার ভিড় বাড়ছে। শুধু মেদিনীপুর শহর বা শহরতলিতেই নয়, জঙ্গলমহল এলাকায় বন দফতরের কয়েকটি পার্ক আছে। সেখানেও বাড়ছে ভিড়। সাত থেকে সত্তর সবুজের স্বাদ পেতে ভিড় করছেন সকলেই। কেউ আসছেন বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে পিকনিক করতে। আবার অনেকে আসছেন শুধু বেড়াতে। বন দফতরের ব্যাখ্যা, অশান্তির জেরে গত কয়েক বছর জঙ্গলমহলের পার্কগুলিতে মানুষের যাতায়াত কমেছিল। এ বার আর সেই পরিস্থিতি নেই। তাই ভিড় বেড়েছে। |
|
ছুটির দিনে মেদিনীপুরের গোপগড় ইকো-পার্কে। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
মেদিনীপুর শহর লাগোয়া গোপগড়ে বন দফতরের পার্কে বছরের প্রায় সময়েই মানুষের যাতায়াত লেগে থাকে। বিশেষ করে কলেজ পড়ুয়াদের। শীত পড়লে সেই ভিড় বাড়ে। বড়দিনে শুধুমাত্র এই পার্কেই অন্তত ৫ হাজার মানুষ এসেছেন বলে বন দফতর সূত্রে খবর। পিকনিক করেছে ৮৩টি দল! ফলে ওই দিন এখান থেকে আয় হয়েছে প্রায় ২৭,৬০০ টাকা। যা গত কয়েক বছরের মধ্যে ‘রেকর্ড’ বলে দাবি দফতরের কর্তাদের। শুধু গোপগড় নয়, চাঁদড়া, গুড়গুড়িপালের পার্কগুলিতেও মানুষের যাতায়াত বেড়েছে। মেদিনীপুরের ডিএফও আশিস সামন্ত বলেন, “এখন প্রতিদিনই পার্কগুলিতে ভিড় হচ্ছে। অনেকে পরিবারের সঙ্গে পিকনিক করতে আসছেন। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকেও নজর রাখছি।” মেদিনীপুর শহরের পাশে কাঁসাই নদী সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ক্ষুদিরাম পার্ক। শুধু মেদিনীপুর নয়, খড়্গপুর শহর ও তার আশপাশ এলাকা থেকেও প্রচুর মানুষ এখানে আসছেন। খড়্গপুরের হিজলি, সাঁকরাইলের দুর্গাহুড়িতে বড় পার্ক রয়েছে। বড়দিনে সেখানেও প্রচুর মানুষ এসেছেন। বন দফতর সূত্রে খবর, ওই দিন হিজলিতে হাজার দেড়েক এবং দুর্গাহুড়িতে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ এসেছেন। চলতি বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের শুরুতে ভিড় আরও বাড়বে বলেই আশা করছে বন দফতর। খড়্গপুরের ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “গত বছরের তুলনায় এ বার পার্কগুলিতে বেশি ভিড় হচ্ছে। এমনটাই সবাই প্রত্যাশা করেন।” এই পরিস্থিতিতে পার্কগুলিকে ঢেলে সাজাতেও উদ্যোগী হচ্ছে বন দফতর। গোয়ালতোড়ে রূপাঘাঘরায় একটি বড় পার্ক রয়েছে। আগে এই সময়ে সেখানে প্রচুর মানুষ আসতেন। কিন্তু, অশান্তির জেরে গত কয়েক বছর ধরেই পার্ক বন্ধ ছিল। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ফের এই পার্ক খোলার কথা ভাবছে বন দফতর। রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “পরিস্থিতি তেমন ছিল না বলেই পার্ক বন্ধ রাখতে হয়েছিল। ফের পার্ক খোলার ভাবনা চলছে।” এ দিকে, মেদিনীপুর-খড়্গপুরের পাশ দিয়ে গিয়েছে কংসাবতী এবং কেশিয়াড়ি-নয়াগ্রামের পাশ দিয়ে বইছে সুবর্ণরেখা। বছরের শেষ দিনগুলিতে অনেকে এই নদী সংলগ্ন এলাকাতেও পিকনিক করতে আসছেন। |
|
|
|
|
|