টারজান-জেনকে হারিয়ে চলে গেল হলিউডের ‘চিতা’
মারা গেল হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ‘পশু-তারকা’ চিতা। ১৯৩০-এর দশকে বেশ কয়েকটি টারজানের সিনেমায় অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতির শীর্ষে উঠে গিয়েছিল চিতা নামের এই শিম্পাঞ্জিটি। ফ্লোরিডার যে চিড়িয়াখানায় সে ছিল, সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বর মারা গিয়েছে ৮০ বছর বয়সী চিতা।
শিম্পাঞ্জিদের আয়ু সাধারণত ৩৫-৪০ বছর হলেও তার অফুরান জীবনীশক্তি দিয়ে অনেক দিন আগেই ‘টারজান’ আর ‘জেন’কে পিছনে ফেলে দিয়েছিল চিতা। ‘টারজান’ জনি ওয়াইসম্যুলার মারা যান ১৯৮৪ সালে। আর টারজান-সঙ্গী ‘জেন’ মরিন ও’ সালিভান তার বছর চারেক পরে। ৭৫-এ পা দেওয়ার পরে, ২০০৫ সালে তাকে ‘সব চেয়ে দীর্ঘজীবী বাঁদর প্রজাতির পশু’ আখ্যা দেয় গিনেস বুক অফ ওয়ালর্ড রেকর্ডস।
১৯৬০ সালে ফ্লোরিডার এই চিড়িয়াখানায় চিতাকে নিয়ে আসা হয়। তখন থেকেই তার ‘মানবিক’ আবেগে মুগ্ধ হয়েছিলেন চিড়িয়াখানার কর্মী ও চিকিৎসকেরা। মানুষের সংস্পর্শেই থাকতে সব থেকে ভালবাসত চিতা। বুঝতে পারত কারও মন খারাপ, না ভাল। যদি কোনও কর্মীর মন খারাপ হত, তাকে নানা ভাবে হাসানোর চেষ্টা করত। চিতা খুব মিশুকে ছিল। তার দু’পায়ে ভর দিয়ে সোজা চলা বা খাবার খাওয়ার ভঙ্গি দেখে তাক লেগে যেত চিড়িয়াখানার দর্শকদের। চমকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই করত চিতা। ফ্লোরিডা চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর ডেবি কোব জানিয়েছেন, ছবি আঁকতে খুব ভালবাসত শিম্পাঞ্জিটি। তার জলরঙে আঁকা ছবি বেশ চড়া দামে বেশ কয়েক বার নিলামে উঠেছে। তা ছাড়া, ফুটবল ছিল তার বিশেষ পছন্দের খেলা ছিল। টিভিতে ফুটবল খেলা দেখতে দেখতে সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারত। ‘বাঁদরামি’ বিশেষ করত না। শুধু কাউকে অপছন্দ হলে নিজের মল ছুড়ে মারত। তার ‘টিপ’ এত ভাল ছিল যে, ৩০ ফুট দূরে কেউ দাঁড়িয়ে থাকলেও লোহার গারদের ভিতর থেকে তার লক্ষ্যভ্রষ্ট হত না!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.