দলীয় হুইপ সত্ত্বেও লোকসভায় কাল হাজির না থাকায় কংগ্রেসের ১৩ জন সাংসদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলনেত্রী সনিয়া গাঁধী অনুপস্থিত সাংসদদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন। কোন সাংসদ কী কারণে অনুপস্থিত ছিলেন, তা-ও জানতে চেয়েছেন তিনি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাহুল গাঁধীও। লোকসভায় কাল প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাংসদের অভাবে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হতে পারেনি। কংগ্রেসের তরফে হুইপ জারি করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীর বক্তব্য, কয়েক জন থাকতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। বাকিদের বারবার এসএমএস করে ও ফোনে ভোটাভুটির সময় হাজির থাকার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এতেও যাঁরা হাজির হননি তাঁদের কাছে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হবে। রাজ্যসভায় এমনিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই সরকারের। সেখানেও যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য খোদ সনিয়া সকলকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
শুধু কংগ্রেস নয়, ইউপিএ-সরকারকে গতকাল ডুবিয়েছে শরিক দলগুলিও। তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত বক্সি, কবীর সুমন, শুভেন্দু অধিকারী, তাপস পাল গতকাল দিল্লিতে ছিলেন না। কাকলি ঘোষদস্তিদার একেবারে শেষ বেলায় হাজির হন। ডিএমকে-রও তিন জন গরহাজির ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেও হাজির ছিলেন না আর এক শরিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা। শুধু গুজরাতেরই ছয় কংগ্রেস সাংসদ গতকাল অনুপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধিনসা পটেলের নাতনির বিয়ে ছিল। তা তিনি আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর এক সাংসদ জগদীশ ঠাকুরের জামাই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। বাকিদের গরহাজিরার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের এই করুণ অবস্থা দেখে আজ বিজেপির নেতারাও নড়েচড়ে বসেছেন। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, রাজ্যসভায় লোকপাল বিলের কোনও সংশোধনীতে দল যদি একটা ভোটেও হারে, তা হলেও অনুপস্থিতদের শো-কজ করা হবে। দলের কোনও সাংসদ যাতে অনুপস্থিত না থাকেন, তা সুনিশ্চিত করতে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপি। গুজরাতের নরেন্দ্র মোদী-ঘনিষ্ঠ সাংসদ পুরুষোত্তম রূপালা আমেরিকায় গিয়েছেন। দল তলব করায় রূপালার জবাব, ‘‘মোদীজিকে আমেরিকা ভিসা দেয় না। আর আমাকে ভিসা পেয়েও ফেরত যেতে হবে!’’ বিজেপি সমর্থিত নির্দল সাংসদদেরও কাল রাজ্যসভায় বিল পাশের সময় হাজির থাকতে বার্তা পাঠানো হয়েছে। শিল্পপতি রাজীব চন্দ্রশেখর তাইল্যান্ডে ছুটিতে গিয়েছেন। তাঁকে বলা হয়েছে, ‘আপনার ব্যক্তিগত বিমান রয়েছে। তিন ঘণ্টার পথ। ফেরত চলে আসুন।’ |