পরিবহণ, সরকারি দফতর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৪ জানুয়ারির গ্রামবাংলা বন্ধের আওতার বাইরেই রাখছে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলি। সেই দিনের ‘কার্যত ধর্মঘটে’ পরিবহণে যে প্রভাব পড়বে না, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যকে সেই কথা জানিয়ে দিয়েছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।
ধান-সহ ফসলের ন্যায্য দামের দাবিতে ওই দিন বামপন্থী চারটি কৃষক সংগঠন ‘কার্যত গ্রাম বাংলা বন্ধে’র ডাক দিয়েছে। ওই একই দিনে কলকাতার ধর্মতলায় কৃষক সমস্যা নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে কংগ্রেসের। তাঁদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিনে ধর্মঘট না-করে তার দিনবদল করার আর্জি জানিয়ে বিমানবাবুকে চিঠি দিয়েছিলেন প্রদীপবাবু। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির আশঙ্কা ছিল, বামেদের ওই ধর্মঘটের জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকেরা তাঁদের কলকাতার কর্মসূচিতে আসতে সমস্যায় পড়বেন। আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, চিঠির পরে বিমানবাবুর সঙ্গে প্রদীপবাবুর ফোনে কথা হয়েছে। বিমানবাবু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে জানিয়েছেন, ৪ জানুয়ারি কৃষক এবং ক্ষেতমজুরেরা মাঠে কাজ করবেন না। গ্রামগঞ্জের হাটবাজারও স্থানীয় ভিত্তিতে বন্ধ থাকতে পারে। কিন্তু গ্রামের মানুষের যাতায়াতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তা সত্ত্বেও কৃষক সংগঠনগুলি তাদের কর্মসূচি ফের স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করে দেবেন বলে বিমানবাবু প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে ‘আশ্বস্ত’ করেন।
সেইমতোই সিপিএমের কৃষক সভার রাজ্য সভাপতি এবং দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মদন ঘোষ মঙ্গলবার জানান, ওই দিন গ্রামে কৃষি-কাজ বন্ধ থাকবে। কৃষক ও ক্ষেতমজুরেরা মাঠে নামবেন না। কিন্তু পরিবহণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরকেও বন্ধের আওতার বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মদনবাবু বলেন, “সব সরকারি দফতরকেই বন্ধের আওতার বাইরে রাখছি। স্থানীয় মানুষেরা চাইলে পঞ্চায়েত দফতরে বন্ধ করতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় ভাবে কিছু বলা হচ্ছে না।”
প্রসঙ্গত, ৪ জানুয়ারির মধ্যে বেশির ভাগ স্কুলেই নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে যাবে। বছরের প্রথমেই বন্ধের জেরে স্কুল বন্ধ করে সমালোচনার মুখে পড়তে নারাজ বামপন্থীরা। সেই কারণেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মত। |